কোরান হাদিসের উদৃতি দিয়ে তিনি বলেন, মহানবী (সা.) দুনিয়াতে না আসলে কিছুই সৃষ্টি হতো না। তাঁর (রসুল) উছিলায় আমরা সবকিছু পেয়েছি।
যুগে যুগে জশনে জুলুস পালিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর নুর থেকে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে।
সারা বিশ্বে জশনে জুলুস পালিত হচ্ছে উল্লেখ করে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মহানবী (সা.) উত্তম আদর্শের প্রতীক। সত্যিকার অর্থে রসুলের আদর্শ অনুসরণ করলে পৃথিবী স্বর্গের রাজ্যে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, মহানবীকে (সা.) সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন আল্লাহ। রহমতের মালিক আল্লাহ। কিন্তু বন্টন করবেন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম।
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, নবীর আগমন উপলক্ষ্যে আল্লাহ খুশি উদযাপন করতে বলেছেন। হুজুর কেবলা সেই খুশি উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সাল থেকে নিয়মিত এ আয়োজনে নবী প্রেমিকদের আগমণ ঘটে।
আনজুমান আয়োজিত এ জুলুসে সারাদেশ থেকে নবী প্রেমিকরা নিজ উদ্যোগে অংশ নেন জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব জেলা-উপজেলা এবং চট্টগ্রামের সব উপজেলা এমনকি সব ইউনিয়ন থেকে জুলুসে অংশ নিতে লাখ লাখ মানুষ ছুটে আসেন।
গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও আহলে সুন্নত ওয়াল জমা’আত’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়া বলেন, নবী দুনিয়াতে আসার দিনের মতো আর কোন উত্তম দিন নেই। তাই এটি অন্যতম খুশির দিন। যারা বলে দুটি ঈদ ছাড়া আর কোন ঈদ নেই তারা কোরান-হাদিস গভীরভাবে স্টাডি করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এমইউ/টিসি