অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) খেলতে এবার হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। আসন্ন মৌসুমের পুরো সময়ের জন্য তাকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
রিশাদ গত মৌসুমেও হোবার্ট হারিকেন্সে দলে ছিলেন, তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর ব্যস্ততার কারণে খেলতে পারেননি। যদিও তার অনুপস্থিতিতেই প্রথমবারের মতো বিবিএল শিরোপা জিতেছিল হারিকেন্স। এবারের আসরে দলে যোগ দিতে মুখিয়ে আছেন তিনি।
রিশাদ বলেন, ‘পন্টিং ছোটবেলা থেকেই আমার প্রিয় খেলোয়াড়দের একজন। ওর খেলা দেখতাম নিয়মিত। তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেতে যাচ্ছি, এটা আমার জন্য দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি আমি উন্মুখ পন্টিংয়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য। ওর অধীনে খেলাটা আমার জন্য দারুণ কিছু শেখার সুযোগ হবে। ’
বিদেশি লিগে খেলার সিদ্ধান্তের কারণ জানিয়ে রিশাদ বলেন, ‘আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কীভাবে নিজের খেলায় আরও উন্নতি আনতে পারি। তারপর ভাবলাম, যদি এসব বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পাই, তাহলে সেটা আমাকে অনেক সাহায্য করবে। এসব ম্যাচ হয় বিশ্বের বিভিন্ন মাঠে, যেগুলোতে খেলা আমার স্বপ্ন। ’
লেগ স্পিনার হিসেবে নিজেকে আরও উন্নত করতে চান তিনি, ‘বিদেশি লিগগুলোতে খেলার সুযোগ পেলে আমার বোলিং আরও উন্নত হবে। অনেক বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে এক ড্রেসিংরুমে থাকা মানেই শেখার সুযোগ। আশা করছি, নতুন কিছু অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারব। ’
নিজের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনতে নিরন্তর কাজ করছেন ২৩ বছর বয়সী এই স্পিনার, ‘আমি আমার শক্তির ওপর বিশ্বাস রাখি। প্রতিদিন এক বা দুই শতাংশ হলেও উন্নতি করার চেষ্টা করি, ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি ভাবি না। ’
নতুন অ্যাঙ্গেলে বল করে ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করার দিকেও কাজ করছেন রিশাদ, ‘আমার লক্ষ্য ব্যাটসম্যানের মনে সন্দেহ তৈরি করা, যাতে সে বুঝতে না পারে আমি কী করতে যাচ্ছি। এটা আমার নতুন ভ্যারিয়েশন। ’
পাওয়ারপ্লে ও পরের ওভারগুলোতেও প্রভাব রাখতে চান রিশাদ, ‘লেগ স্পিনার হিসেবে আমার কাজ উইকেট নেওয়া, বিশেষ করে পাওয়ারপ্লের পর। হোবার্টের হয়েও সেটা ধরে রাখতে চাই। ’
আরইউ