ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

প্রাথমিকে দাওরা হাদিসধারীদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে ডিও লেটার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৩৫, অক্টোবর ১৩, ২০২৫
প্রাথমিকে দাওরা হাদিসধারীদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে ডিও লেটার উপদেষ্টা

ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কওমি মাদ্রাসার দাওরা হাদিস সনদপ্রাপ্তদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ডিও লেটার (চিঠি) দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এটা সরাসরি আমার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত নয়। এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে যেহেতু হেফাজতসহ আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে আপত্তি রয়েছে সংগীত বিষয়টি পাঠ্যক্রমে রাখার বিষয়ে, তাই আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়কে বলেছি, এ বিষয়ে বসার প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন, উনি আমাকে বলেছেন, ‘ধর্মীয় শিক্ষক’ নামে কোনো পদ আগে ছিল না। সহকারী শিক্ষকরাই বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ ও ধর্ম—সব পড়াতেন। তবে ধর্ম শিক্ষা ক্লাসের সময়সীমা ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে।  

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম চার থেকে সাত মাসের মধ্যেই উনাকে একটি ডিও লেটার দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, যারা কওমি মাদ্রাসা থেকে দাওরা হাদিস সনদ অর্জন করেছেন (যা এমএ ইন আরবি বা ইসলামিক স্টাডিজের সমমানের), তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম, বাংলা প্রভৃতি বিষয় ভালোভাবে পড়াতে পারবেন। উনি বলেছেন, বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন।  

সংগীত শিক্ষকের বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন, সংগীত শিক্ষার যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেটি দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে না। সে হিসেবে এখন নিয়োগও দেওয়া যাচ্ছে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, হিন্দু ধর্ম হিন্দুরা, বৌদ্ধ ধর্ম বৌদ্ধরা, ইসলাম ধর্ম মুসলমানরা পড়াবেন-এটাই আমরা চাই। নির্দিষ্ট ধর্মের শিক্ষকই যেন নির্দিষ্ট ধর্ম পড়ান, সেটা নিশ্চিত হওয়া দরকার।  

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত এখনো কী অবস্থায়—এমন প্রশ্নে ম খালিদ হোসেন বলেন, না, সেটা আমি বলতে পারব না। যেহেতু এটি আমার মন্ত্রণালয়ের আওতায় নয়। হেফাজতের আপত্তি এবং অন্যান্য ইসলামিক দলের দাবিগুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করছে।  

উপদেষ্টার মন্তব্য, আমি একজন ধর্মীয় উপদেষ্টা হলেও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার আমার মন্ত্রণালয়ের নয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ই সিদ্ধান্ত নেবে সংগীত বিষয় থাকবে কিনা, বা ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে কিনা।

জিসিজি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।