এ দুইটি স্থাপনা হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক ৫ হাজার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও প্রাইম মুভার (লরি) চলাচল বন্ধ হবে বন্দর এলাকায়। ফলে যানজট, দুর্ঘটনা কমবে।
>> বে-টার্মিনালের জমি বুঝে নিল চট্টগ্রাম বন্দর
>> বে-টার্মিনালের সীমানাপ্রাচীরের কাজ শিগগির শুরু হচ্ছে
>> বে টার্মিনালের জমির জন্য ৩৫২ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে ৭টি স্কেভেটার ও অর্ধশতাধিক ডাম্প ট্রাক মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুটের বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়নি।
তিনি জানান, সপ্তাহখানেকের মধ্যে চারটি ড্রেজারের সাহায্যে সাগর থেকে বালু তুলে ৪০০ একর জায়গা ভরাটের কাজ শুরু করা হবে। ২টি ড্রেজার ২২ ইঞ্চি ব্যাসের এবং ২টি ২৪ ইঞ্চি ব্যাসারে পাইপের সাহায্যে বালু তুলবে। কয়েক দিনের মধ্যেই ড্রেজিংয়ের পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। সব কিছু করা হচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বে-টার্মিনাল এলাকার ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির মূল্যবাবদ টাকা পরিশোধ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর বাইরে খাসজমি নেওয়া হচ্ছে প্রায় ৯০০ একর। সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার করার পর বে-টার্মিনালের মোট জমির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২ হাজার ৫০০ একর। বর্তমানে বছরে ২ শতাংশ ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে বসতবাড়ি নির্মাণ ও শিল্পায়নের কারণে। সাগর থেকে বেশিরভাগ ভূমি পুনরুদ্ধার করে বে টার্মিনাল করায় এটি হবে এক্ষেত্রে আশীর্বাদ।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এআর/টিসি