মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর মোহনা হলে বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন ও চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের হাতে চেক তুলে দেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
স্বাগত বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর।
তিনি বলেন, বে টার্মিনালে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হবে। পর্যায়ক্রমে তা ৩০ লাখে উন্নীত হবে। জাহাজের গড় অবস্থান কমে যাবে। যানজটমুক্ত নগর গড়ে তোলা সহজ হবে। বন্দরের আয় বাড়বে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি এ টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হবে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে হালিশহর উপকূলে প্রস্তাবিত বে টার্মিনাল এলাকার চ্যানেলটি ৭-১০ মিটার গভীর। চরের পশ্চিম পাশে বহির্নোঙরে গভীরতা ১২-১৩ মিটার। টার্মিনালের জন্য ৮৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। এরপর সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার করলে জমির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার ৫০০ একর। বন্দর জেটিতে যেখানে জোয়ারে ১৯০ মিটার দীর্ঘ সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারে সেখানে বে টার্মিনালে ১২ মিটার ড্রাফটের ৩০-৩৫টি বড় জাহাজ ২৪ ঘণ্টা ভিড়তে পারবে। যেখানে ২০ ফুট দীর্ঘ ৫ হাজার কনটেইনার নিয়ে আসতে পারবে একেকটি জাহাজ। বে টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ২ বিলিয়ন ডলার। যা মাত্র ১১ বছরে উঠে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
এআর/টিসি