মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা নৃপতি শীল বন্দরের এস্টেট বিভাগের প্রধান জিল্লুর রহমানের কাছে জমি বুঝিয়ে দেন।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর খন্দকার আক্তার হোসেনসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের কানুনগো, সার্ভেয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বে টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিস্থাপন এবং বন্দরে নতুন সংযোজিত গ্যান্ট্রি ক্রেন উদ্বোধন করবেন।
জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ জমি বুঝে পাওয়ায় বে-টার্মিনালের প্রাথমিক কাজ শুরু করা যাবে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর মোহনা হলে ব্যক্তি পর্যায়ের ৬৬ দশমিক ৮৫ একর জমির জন্য ৩৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের হাতে চেক তুলে দেন নৌমন্ত্রী।
সূত্র জানায়, বে টার্মিনালে প্রাথমিকভাবে ৫ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং হবে। পর্যায়ক্রমে তা ৩০ লাখে উন্নীত হবে। এর ফলে জাহাজের গড় অবস্থান কমে যাবে। যানজটমুক্ত নগর গড়ে তোলা সহজ হবে। বন্দরের আয় বাড়বে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি এ টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে হালিশহর উপকূলে প্রস্তাবিত বে টার্মিনাল এলাকার চ্যানেলটি ৭-১০ মিটার গভীর। চরের পশ্চিম পাশে বহির্নোঙরে গভীরতা ১২-১৩ মিটার। টার্মিনালের জন্য ৮৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। এরপর সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার করলে জমির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার ৫০০ একর। বন্দর জেটিতে যেখানে জোয়ারে ১৯০ মিটার দীর্ঘ সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারে সেখানে বে টার্মিনালে ১২ মিটার ড্রাফটের ৩০-৩৫টি বড় জাহাজ ২৪ ঘণ্টা ভিড়তে পারবে। যেখানে ২০ ফুট দীর্ঘ ৫ হাজার কনটেইনার নিয়ে আসতে পারবে একেকটি জাহাজ। বে টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ২ বিলিয়ন ডলার। যা মাত্র ১১ বছরে উঠে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
এআর/টিসি