চট্টগ্রাম: চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে হালিশহর আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল্ডে ‘গ্যাস কূপের টেস্ট বোরিং’ উদ্বোধন করেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে এ প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ দূষণ রোধে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার কোনো বিকল্প নেই।
আমি যখন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন থেকেই আমার চিন্তা ছিল—কীভাবে শহরের ময়লাগুলো সম্পদে রূপান্তর করা যায়।
মেয়র জানান, সিটি করপোরেশনের ওয়েস্ট টু এনার্জি উদ্যোগের আওতায় চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বায়োগ্যাস উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আশা করেন, এই টেস্ট বোরিং সফল হলে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকল্পটি চালু হবে এবং জনগণ বিনামূল্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা পাবে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিকটন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করে প্রায় ২ হাজার ২০০ টন। বাকি বর্জ্য নালা ও খালে গিয়ে জলাবদ্ধতা ও দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য ডোর-টু-ডোর প্রকল্প চালুর মাধ্যমে আমরা শতভাগ বর্জ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করতে চাই।
মেয়র নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্জ্য নালা বা খালে ফেলবেন না। একটু সচেতনতা আমাদের শহরকে করবে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম বায়োগ্যাস প্রজেক্ট, যা চট্টগ্রামকে একটি পরিবেশবান্ধব, আধুনিক ও টেকসই শহরে রূপান্তরে ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, রাজনীতিবিদ এমএ আজিজ, হানিফ সওদাগর, বিঅ্যান্ডএফ কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান সিডব্লিউ পার্ক, পরিচালক মেজর নাসিম উদ্দিন, পরিচালক প্রকৌশলী তানিম, প্রকল্প ইনচার্জ অ্যাডভোকেট তারান্নুম বিনতা নাসিম, সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ প্রমুখ।
এআর/পিডি/টিসি