বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন ঘিরে চলছে টানটান পরিস্থিতি। আগামীকাল ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
তামিমকে নিয়ে আপত্তি উঠেছে, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেননি। ফলে কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তবে তামিম মনে করেন, তার প্রার্থীতা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার কথা নয়। তিনি বর্তমানে দুটি ক্লাবের কমিটিতে কাজ করছেন এবং একটি ক্লাব নিজেও পরিচালনা করেন।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেন, ‘আপনারা গঠনতন্ত্রটা বের করে দেখেন, সেখানে সাবেক ক্রিকেটার লেখা আছে। কিন্তু সাবেক ক্রিকেটার মানে কী এটা কি কোথাও ব্যাখ্যা করা আছে যে আমাকে অফিসিয়ালি অবসরের ঘোষণা দিতেই হবে?’
তামিম জানান, তিনি সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছেন ৫ মাস আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। এর পর থেকে মাঠে নামেননি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি যদি নিজের মনে স্থির করি আর ক্রিকেট খেলব না, তাহলে তো আমি সাবেক হয়েই গেলাম। এখন সেটা লিখিতভাবে ঘোষণা দিলাম কি না, তাতে কী আসে যায়?’
এখানেই থেমে থাকেননি তামিম। তিনি পাল্টা উদাহরণ টেনে বলেন, ‘বিসিবির যে ১৫ জনের তালিকা দিয়েছে, তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আশরাফুল তো সম্প্রতি ইংল্যান্ডে গিয়ে খেলেছে। আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভাইও কোনো অফিসিয়াল জায়গায় অবসরের ঘোষণা দেননি। তাহলে আমাকে ধরতে গেলে তারাও ধরা পড়বেন। ’
বর্তমানে বিসিবির তালিকায় সাবেক ক্রিকেটার ক্যাটাগরিতে আছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ফারুক আহমেদ, জাভেদ ওমর, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, মোহাম্মদ এহসানুল হক, মোহাম্মদ আলী খান, খালেদ মাসুদ পাইলট ও হাসিবুল হোসেন শান্ত। তাদের মধ্যে অনেকে আনুষ্ঠানিক অবসর ঘোষণা দেননি বলেও উল্লেখ করেন তামিম।
তামিমের বক্তব্যে স্পষ্ট। যদি তার প্রার্থীতা নিয়ে বিতর্ক তোলা হয়, তবে অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারও একই প্রশ্নের মুখে পড়বেন।
এফবি/আরইউ