এশিয়া কাপ ২০২৫ সুপার ফোর ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ফখর জামানকে ক্যাচ আউট দেওয়া হয় হার্দিক পান্ডিয়ার বলে। উইকেটকিপার সঞ্জু স্যামসনের হাতে বল পৌঁছনোর আগে তা মাটিতে লেগেছিল কি না, এ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল ‘সামা’-তে বলেন, ‘উনি (থার্ড আম্পায়ার) তো আইপিএল-এও আম্পায়ারিং করবেন, তাই ভারতের পক্ষেই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ’
আফ্রিদির দাবি, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পক্ষপাতদুষ্ট এবং ফখর আসলে আউট ছিলেন না।
প্যানেল আলোচনায় থাকা পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার মোহাম্মদ ইউসুফ আফ্রিদির সুরেই বলেন, ‘সব অ্যাঙ্গেল দেখাই হয়নি। ফখর তিনটি চার মেরেছিল, বুমরাহকেও সামলেছিল সহজে। তার উইকেট ভারতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ’
পাকিস্তানের আরেক কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতারও বলেন, ‘ফখর আউট ছিল না। ২৬টি ক্যামেরা থাকার পরও কেন শুধু দুই অ্যাঙ্গেল দেখা হলো? ফখর ক্রিজে থাকলে ম্যাচ অন্যদিকে যেতে পারত। ’
পাকিস্তান দলের ম্যানেজার নবীদ আকরাম চীমা ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-মেইল পাঠিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিদ্ধান্ত নিয়ে। তাদের অভিযোগ, সব রিপ্লে ব্যবহার করা হয়নি, অথচ স্পষ্ট ও চূড়ান্ত প্রমাণ ছাড়াই ফখরকে আউট দেওয়া হয়েছে।
ফখর ৯ বলে ১৫ রান করে আউট হন এবং আক্ষেপ নিয়ে মাথা নাড়তে নাড়তে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। কোচ মাইক হেসনের সঙ্গেও তার সংক্ষিপ্ত আলাপ হয়, যেখানে হেসন হাত নাড়িয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের দাবি, থার্ড আম্পায়ার যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই ‘আউট’ দিয়েছেন এবং এতে ভারতেরই সুবিধা হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতীয় শিবিরের মতে, রিপ্লেতে দেখা গেছে স্যামসনের আঙুলের নিচে বল ছিল। কিন্তু ‘সব দিক খতিয়ে দেখা হয়নি’ অভিযোগে এখনো সরব পাকিস্তানি শিবির।
এমএইচএম