ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সেই পূর্ণিমাকে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বানালেন তারানা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
সেই পূর্ণিমাকে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বানালেন তারানা পূর্ণিমার সাথে তারানা হালিম/ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি

ঢাকা: ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার পূর্ণিমাকে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে ছবিসহ পোস্ট দিয়েছেন তারানা হালিম।  

জানতে চাইলে তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, অনেক কষ্ট করে ওকে খুঁজে পেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে অনেক দূর পড়াশোনা করিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ‘মা মনি’ বলে ডাকতেন পূর্ণিমা। নিজের মায়ের মতো হাতে খাইয়েছেন। নেত্রী বলেছেন, পূর্ণিমার মতো মেয়েদের অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

তারানা হালিম বলেন, আমি তাকে তিনটি প্রশ্ন করেছি- সততার সঙ্গে কাজ করতে পারবে কিনা, দিবারাত্রি কাজ করতে পারবে কিনা এবং ভুল করলে বকা দিলে অভিমান করবে কিনা- প্রশ্নে তার উত্তর ছিলো সন্তোষজনক।

তাহলে তোমাকে একটা সুযোগ দিতে চাই, এই ভেবে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

নতুন বছরের শুরুতে মন্ত্রিসভা রদবদল এবং কলেবর বৃদ্ধির সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তারানা হালিম।  

এই মন্ত্রণালয়ে তার ব্যক্তিগত পদটি পূরণ করে তারানা হালিম বলেন, এভাবে ওই সময়ে যারা ধর্ষণের হয়েছিলো তাদের যদি মূল্যায়ন করি তাহলে আমরা সম্মানিত হই।  

‘সরকারি অফিসে আসবে-যাবে। আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠবে। নতুনভাবে তার পথ চলা শুরু হলো। তাদের মতো মানুষকে সম্মানিত করলে আমরা সম্মানিত হই। ’

তারানা হালিম বলেন, দায়িত্ব দিয়ে ছবি তুলে বললাম ফেসবুকে দিতে কোনো আপত্তি নেই?  তখন সে বললো, এই লজ্জা তো আমার নয়, তাদের...।  

‘এভাবে সম্মানিত করা মানে অপরাধীর পিঠে চাবুকের মতো পড়া’, বলেন তারানা হালিম।  

ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নিজেরাই নিয়োগ দিতে পারেন উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, ডিপ্লোমা পাস করেছে, চাকরির যোগ্যতা রয়েছে তার (পূর্ণিমা)।  

সিরাজগঞ্জের সেই পূর্ণিমা রাজধানীতে গান শেখায়। ধর্ষণের ঘটনায় ২০১১ সালে মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

তারানা হালিম ফেসবুকের পোস্টে লেখেন, মনে পড়ে সেই পূর্ণিমাকে? ২০০১ এর ১ অক্টোবর নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো ১৪ বছরের মেয়েটি। হ্যাঁ, আমি সিরাজগঞ্জের সেই পূর্ণিমা শীলের কথা বলছি। আজ আমি গর্বিত, আমি পূর্ণিমাকে আমার ‘পার্সোনাল অফিসার’ হিসাবে নিয়োগ দিলাম। পূর্ণিমা, তোমাকে আমরা ভুলে যাইনি। জীবনের অন্ধকার রূপ তুমি দেখেছো, আলোর জগতে তোমায় স্বাগতম... শুরু হোক নতুন পথচলা। তোমাকে অভিবাদন প্রিয় পূর্ণিমা।

ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি। তাতে পূর্ণিমার প্রতি তারানার ভালোবাসার চিত্র ফুটে উঠেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮/আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad