খুলনা: খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে খুলনা রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে প্রিন্স নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার ওহিদ খান বাংলানিউজকে বলেন, স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে যে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তিনি স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।
এর আগে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে রূপসার জাবুসার চৌরাস্তা মোড়ের কাছে আইডিয়াল কোম্পানির পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির হাত -পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ট্রিপল নাইন থেকে ফোন পেয়ে অর্ধগলিত অজ্ঞাত এক পুরুষের লাশ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিন থেকে পাঁচ দিন ধরে মৃত ব্যক্তি পানিতে ছিলো। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশ থেকে পুলিশ এ অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতের বয়স আনুমানিক ৮০ বছর।
খানজাহান আলী সেতুর দিকে যাওয়ার পথে সড়কের পাশে ওই বৃদ্ধ পড়েছিলেন। স্থানীয়রা মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। কোন যানবাহন তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বটিয়াঘাটায় নিজ বাড়ির পুকুরে পড়ে জোসনা কুন্ডু নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোববার রাতে কাজ শেষে বাড়িতে প্রবেশের সময় তিনি পুকুরে পড়ে মারা যান। মৃত জোসনা কুন্ডু উপজেলার কুন্ডুপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিত কুন্ডুর স্ত্রী।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রহিম বলেন, জোসনা কুন্ডু শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। রোববার রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়ির সামনে একটি পুকুরে থালাবাটি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। অসুস্থতার কারণে পুকুরে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। শেষে পুকুরে তার ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এমআরএম