সিলেট: সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরকিশার সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের শত্রুমর্দন বাঘেরকোনা এলাকায়এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ পৌর শহরের উকিলপাড়ার মৃত প্রণয় দাশের স্ত্রী আবাদিত কেশবা (৪০) ও তার মেয়ে পৌর শহরের সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী প্রথমা চৌধুরী। তারা হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নবীপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। নিহত অপরজন অটোরিকশা চালক সজল ঘোষ (৫০)। তিনি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এদিন সকালে সুনামগঞ্জগামী বেপরোয়া গতির ট্রাক ঘটনাস্থলে সিলেটমুখী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে সরাসরি সজোরে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে৷
স্থানীয় শাহ আলম বলেন, আমরা আরেকটি বাসযোগে যাচ্ছিলাম। পথে বিকট শব্দ শুনে বাস থেকে নেমে যাই। দৌঁড়ে গিয়ে দেখি ট্রাকটি পানিতে পড়ে যাচ্ছে। সিএনজি দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। দুইজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পরে শুনেছি তিনিও মারা গেছেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ, জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ ও শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস টিম।
ঘটনার পর ট্রাকচালককে আটক করে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। আটক ট্রাকচালক পারভেজ আহমদ (৪০) দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস টিম লিডার আলমগীর বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল যাই। দুটি লাশ উদ্ধার করেছি।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ বলেন, নিহতদের ঘনিষ্টজন গোবিন্দ কুমার দাশ লাশগুলো শনাক্ত করে জানিয়েছেন, সিএনজিচালক সজল ঘোষসহ নিহত সবাই ইসকন প্রভুর ভক্ত। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে দেখেছি। আমরা এসে ঘটনাস্থলে দুজনের লাশ পেয়েছি। প্রথমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা গেছে।
জয়কলস হাইওয়ে পুলিশের ওসি সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনায় দুজনের লাশ উদ্ধার করেছি। শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও একজন মারা গেছেন।
এনইউ/জেএইচ