নড়াইল সদরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার চরশালিখা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের তিন রাস্তার মোড়ে দক্ষিণপাড়ার আজিজার শেখ পক্ষ এবং পশ্চিমপাড়ার মশিয়ার শেখ পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- নবির মিয়া, লিটন শেখ, মিজান শেখ, মনির শেখ, নাজমুল কাজী, সাত্তার শেখ, মন্নু শেখ, প্রিন্স শেখ, রানা, চানমিয়া, বিল্লাল, নাঈম শেখ, সোহাগ শেখ, মেহেদী শেখ, রিয়াদ শেখ, তরিকুল ইসলাম, ইয়াদুল শেখ, মিরফুল শেখ, ফেরদৌস, শাহীন শেখ, হাসান শেখ ও মীনা খানমসহ মোট ৩০ জন। এদের মধ্যে মীনা খানমের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় দুই মাস আগে সংঘর্ষের পর দক্ষিণপাড়ার আজিজার শেখ সমর্থিত লোকজন এলাকা ছাড়েন। পুলিশ, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের হস্তক্ষেপে চলতি মাসে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে আজিজার শেখ, এনায়েত শেখ ও হিরু মিয়া সমর্থিত দক্ষিণপাড়ার লোকজন এলাকায় ফিরে আসেন।
এদিকে চলতি মাসের ৯ আগস্ট সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ও জরিমানা করা হয় মশিয়ার শেখ পক্ষ সমর্থিত একজনকে। এ ঘটনার পর মশিয়ার পক্ষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে ওঠে।
পরবর্তীতে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে ডোঙ্গা বিক্রি করতে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার সীতারামপুর ব্রিজে মশিয়ার পক্ষের মুরাদ শেখকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের এই সুযোগে শনিবার সকালে আজিজার শেখ পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মশিয়ার পক্ষের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। খবর পেয়ে মশিয়ার পক্ষ পাল্টা আক্রমণ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মীনা নামে এক নারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এসআরএস