ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৯ মে ২০২৫, ০১ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা ২৩ জন থাকতেন হরিয়ানায়, কাজ করতেন ইটভাটায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৫৪, মে ২৭, ২০২৫
সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা ২৩ জন থাকতেন হরিয়ানায়, কাজ করতেন ইটভাটায়

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করা ২৩ জন থাকতেন ভারতের হরিয়ানায়, কাজ করতেন ইটভাটায়।  

গত ১৫ মে তাদের আটক করে সীমান্ত এলাকায় আনা হয়, এরপর নির্যাতন করে মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

এ ২৩ জনের মধ্যে ২২ জনের বাড়ি কুড়িগ্রাম ও একজনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়।

পুশ ইন করা ২৩ জন হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের জাবেদ হোসেন, তার স্ত্রী শিউলী বেগম, ছেলে সুমন হোসেন, নুর আলী ও সজীব, সুমন মিয়ার স্ত্রী খুশি বেগম, নুর আলমের স্ত্রী সম্পা খাতুন, একই জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আঙারিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন, মোশারফ হোসেনের স্ত্রী লাইলি বেগম, মোশাররফের মেয়ে মোর্শেদা খাতুন ও মিম খাতুন, মোশাররফের ছেলে লুৎফর রহমান লাবিব, একই জেলার মোক্তারকুটি গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে আব্দুল মান্নাফ, আব্দুল মান্নাফের স্ত্রী আনজুয়ারা, মেয়ে সুমাইয়া খাতুন, ছেলে আব্দুল্লাহ, বড়ভিটা গ্রামের মমিন আলীর ছেলে মজিবর রহমান, মজিবর রহমানের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম, চন্দ্রখানা গ্রামের তাজুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম, তাজুল ইসলামের মেয়ে শাফিরানা, দুলালী ও ছেলে শাকিল এবং ঝালকাঠি জেলার দারকী গ্রামের আব্দুল গফফারের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম।

কুশখালী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বিওপি কমান্ডার সুবেদার মেজবাহউদ্দীন জানান, কুশখালী সীমান্ত দিয়ে পাঠানো ২৩ জনকে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন নারী, সাতজন পুরুষ ও নয়টি শিশু রয়েছে।

জাবেদ হোসেন জানান, তারা হরিয়ানা রাজ্যে ইটভাটায় কাজ করতেন। পুলিশ তাদের ১৫ মে আটক করে নিয়ে আসে। পরে কুশখালী সীমান্ত এলাকার একটি স্থানে ১০ দিন আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএস) সদস্যরা। তাদের অনেকেই এখনো সেখানে আছেন।
 
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক জানান, বিজিবি ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে না। তাদের সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রেখে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।