নরসিংদীর বেলাবতে অভিযান চালানোর সময় মাদকবিক্রেতা ও জুয়াড়িদের হামলায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের মাইক্রোবাসও ভাঙচুর করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) রাতে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের চরকাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন- জেলা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এসআই শেখ মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজিব হাসান এবং কনস্টেবল শামসুল ইসলাম, মাজেদুল ইসলাম ও মো. হাসমত আলী।
রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যায় নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল হান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় আহত এসআই আব্দুস সালাম বাদী হয়ে বেলাব থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বিন্নাবাইদ ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সিনতাজ মোহাম্মদ সালমানকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- চর কাশিমনগর এলাকার পারভেজ (২৬), বিন্নাবাইদ ইউপি চেয়ারম্যান রাজিয়া সুলতানা স্বপ্নার ছেলে সিনতাজ মোহাম্মদ সালমান (৩২), কাশিমনগরের নিয়ত আলীর ছেলে মজিবুর রহমান (৪০), মজিদ মিয়ার ছেলে ডা. আব্দুল জলিল (৪৫), মৃত আ. মালেক মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেন (৪২), গোশলাকান্দা এলাকার মৃত দেওয়ান আলীর ছেলে শাহজাহান (৪০), ইকতিয়ার হোসেন (৩৮), ইদ্রিস মেম্বারের ছেলে সেন্টু মিয়া (৪২), চর ছায়েট এলাকার হাবিবুর রহমান (৩৮), হোসেন আলীর ছেলে ইব্রাহিম খলিল (৪৩)।
হামলার বিবরণ দিয়ে মামলার বাদী এসআই আব্দুস সালাম জানান, আমরা নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে কাশিমনগর এলাকায় যাই। মাগরিবের নামাজ শেষে আমি ও এসআই জসিম একটি মসজিদ থেকে বের হলে পারভেজ নামে একজন আমাদের পরিচয় জানতে চান। আমরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিলে তিনি চিৎকার করে লোক জড়ো করেন। এরপর তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয় মুসুল্লি ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, চরকাশিমনগর এলাকায় নিয়মিত জুয়ার আসর বসে এবং মাদকের অবাধ ব্যবসা চলে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এসব পরিচালনা করে থাকে। পুলিশের অভিযান চালাতে যাওয়ায় তারা সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে সুস্থ আছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসআরএস