রাঙামাটি: টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যেকোনো মূহূর্তে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটতে পারে।
বৃষ্টি স্থায়িত্ব হওয়ায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতা জারি করেছে এবং সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে গেলে বাসিন্দারা যেন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।
জেলায় ২০১৭ সালে পাহাড়ধসে সরকারি হিসেবে ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। তবে বেসরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি ছিল। এরপর ২০১৮ সালেও পাহাড়ধসে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বসবাসরত ১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। মূলত এ ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে প্রশাসন অগ্রিম সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাতে শুরু করেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে রাঙামাটির স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোবারক হোসেন জেলা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং স্থানীয়দের সতর্ক করেছেন। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়াতে কালবিলম্ব না করে দ্রুত সময়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাসিন্দাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাঙামাটি জেলার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নাবিল নওরোজ বৈশাখ বলেন, বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ায় প্রাণহানি এবং জান-মালের ক্ষতি এড়াতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের মাঝে প্রশাসন অগ্রিম সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। বৃষ্টি যতদিন থাকবে প্রশাসন ততদিন এ ধরনের সতর্কতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে বৃষ্টি দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী হলে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে জানান এনডিসি।
রাঙামাটি দেশের বৃহৎ জেলা হলেও এখানে সমতল ভূমির পরিধি অত্যন্ত কম। পুরো এলাকা পাহাড় বেষ্টিত। সরকার একাধিকবার তাদের পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সরানোর চেষ্টা করলেও তাদের জন্য স্থায়ী আবাসস্থলের ব্যবস্থা করতে না পারায় এ সমস্যা দীর্ঘ বছর থেকে গেছে। বর্ষাকাল আসলে পাহাড়ধসের ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।
জেএইচ