চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের এক কর্মচারীকে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পদাবনতি করে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে বদলির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এ ঘটনায় কেরু কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয় কর্মকর্তার নামে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে ওই কর্মচারী।
নোটিশে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই রিটে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চিফ অব পার্সোনাল ও ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৪ মে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী (সিডিএ) পদে যোগদান করেন চুয়াডাঙ্গা সদরের ছোটশলুয়া গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন। এরপর ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অফিস সহকারী হিসেবে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তার যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা বিবেচনা করে মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত অফিস সহকারী থেকে অফিস সহকারী পদে ডিস্টিলারি বিভাগের ফরেন লিকার বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এরপর টানা ১০ বছর ওই পদেই চাকরি করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বরে ১১তম গ্রেডের কর্মচারী হিসেবে তার বেতন নির্ধারণ হয়। এর মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের এক চিঠির মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে বদলির আদেশ পান আব্দুল্লাহ আল মামুন। কিন্তু তাকে অফিস সহকারী পদে বদলি না করে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী (সিডিএ) পদ উল্লেখ করে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। যা প্রকৃত পদের ৩ ধাপ নিচে।
কর্মচারী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে অ্যাডভোকেট এবি শওকত আলী গত ১৯ এপ্রিল হাইকোর্টে এ রিট আবেদন দাখিল করেন।
এরপর গত ৮ মে উচ্চ আদালতের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের বেঞ্চ আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা কেন অবৈধ ও আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
আরএ