নীলফামারী: ঈদের গরম কাটাতে যেতে পারেন নীলফামারীর ছায়া শীতল নীলসাগর পাড়ে। সমুদ্র নয়, তবে সমুদ্রের নামের সঙ্গে মিল রেখে ১৯৮০ সালে নামকরণ হয়েছে ‘নীলসাগর’।
জনশ্রুতি আছে, ২শ বছর আগে বিরাট রাজার গরুকে পানি দিতে দীঘিটি খনন করা হয়েছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাভারতে বর্ণিত বিরাট রাজা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে নিহত হলে তাকে এর পাড়ে সমাহিত করা হয়। আবার অনেকের ধারণা, ওই রাজার একমাত্র মেয়ে বিন্নাবতীর স্নানের জন্য দীঘিটি খনন করা হয়। তার নামানুসারে এর নামকরণ হয় ‘বিন্নাদীঘি’।
১৯৮০ সালে এই দীঘি আধুনিকায়ন করেন নীলফামারীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক আব্দুল জব্বার। সংস্কার কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এর নাম দেন ‘নীলসাগর’। এই স্থানের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, পত্রিকা, যানবাহন, এমনকি নীলফামারী-ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের নামকরণ হয়েছে।
বিনোদন কেন্দ্রটি জেলা শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে নীলফামারী-দেবীগঞ্জ-পঞ্চগড় সড়কের পাশে অবস্থিত। জেলা শহর থেকে ভ্যান, অটোরিকশা, বাস, মাইক্রোবাস, ট্রেনে যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া আকাশপথে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে বাস বা ট্রেনে আসা যায়।
বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এখানে মাছ ও অতিথি পাখির অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে আবাসিক সুবিধা। শিশুদের জন্য রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা। পর্যটকদের জন্য আবাসিক সুবিধাসহ বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নীলফামারী মিউজিয়ামের কাজ নির্মাণাধীন রয়েছে।
এএটি