দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানের ইনিংস ভেঙে পড়ল ভয়াবহভাবে। ১৩তম ওভারে ১১৩-১ থেকে হঠাৎ ধস নেমে দলটি নেমে যায় ১৩৪-৮ এ।
বুমরাহর করা এক ডেলিভারিকে থার্ডম্যান অঞ্চলে পাঠিয়ে বাউন্ডারি পান রউফ। তবে ওভারের শেষের আগের বলেই তাকে বোল্ড করে দেন ভারতীয় পেসার। আউট করার পর বুমরাহ রউফের দিকে বিমানের বিধ্বস্ত হওয়ার ভঙ্গি করে ব্যঙ্গ করেন।
এই অঙ্গভঙ্গি আসলে রউফের আগের আচরণের জবাব। ২১ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে দর্শকের ‘কোহলি, কোহলি’ স্লোগানে উত্তেজিত হয়ে রউফ নিজেই করেছিলেন ‘প্লেন ক্র্যাশ’ এবং ‘৬-০’ ভঙ্গি। মূলত ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হওয়া সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে 'অপারেশন সিদুঁর' নামের অভিযান চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। যেটি পরে যুদ্ধে পরিণত হয়। পাকিস্তান দাবি করে, সংক্ষিপ্ত ওই যুদ্ধে ভারতের ৬টি বিমান ভূপাতিত করেছে তারা। ভারতের দাবি, সেদিকেই ইঙ্গিত করে উদযাপন করেছিললেন রউফ। ওই ঘটনার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আইসিসিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়। পরে আইসিসি শাস্তি হিসেবে রউফের ম্যাচ ফি থেকে ৩০ শতাংশ কেটে নেয়।
ম্যাচে পাকিস্তান শুরুটা দারুণই করেছিল। সাহিবজাদা ফারহান করেন হাফসেঞ্চুরি। ১১৩-১ অবস্থায় বড় সংগ্রহের আশা করছিল দলটি। কিন্তু কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতেই পাল্টে যায় ম্যাচ। চার উইকেট তুলে নিয়ে তিনি পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দেন। একের পর এক বেপরোয়া শটে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৪৬ রানে অলআউট হয় বাবর আজমের দল।
এমএইচএম