ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একজনের কবজি কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তির নাম আনিসুর রহমান।
রোববার (১৫ জুন) দুপুরে দেউলা ইউনিয়নের মজম বাজারে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় আনিসুরের কবজি কেটে ফেলে প্রতিপক্ষ। এছাড়া এ সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
গুরুতর আহত আনিসুর রহমানকে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনার পর দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির মেয়ে তানিয়া ফেসবুকে পোস্ট দেন। আনিসুরের কবজি কেটে ফেলার ঘটনাকে ‘বাবা দিবসের উপহার’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংঘর্ষের বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি আমির হোসেন বেপারীকে সভাপতি এবং জাবেদ ইকবাল সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক করে দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পূর্ব থেকেই সভাপতি-সম্পাদক দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। কমিটি গঠনের পর থেকে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়।
দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক জাবেদ ইকবাল সোহেল অভিযোগ করে বলেন, ‘দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অন্যায় অনিয়মের ব্যাপারে কঠোর হওয়ায় সভাপতি আমির বেপারীসহ তার লোকজন আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। আজ দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হওয়ার পর সভাপতি আমির ও তার ছেলেরাসহ একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আমার ওপরে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান। এ সময় আমির বেপারির ছেলে কুপিয়ে তার বাম হাতের কবজি আলগা করে ফেলে। ’
সোহেল আরও অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় তিনিসহ তার সঙ্গে থাকা অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, প্রতিপক্ষের হাতের কবজি কাটার পরপরই সভাপতি আমির বেপারির মেয়ে তানিয়া নিজের ফেসবুকে এ ঘটনাকে ‘বাবা দিবসের উপহার’ বলে উল্লেখ করে পোস্ট দেন। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
উল্লেখ্য, দেউলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল সোহেল ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাইকমান্ড ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং গুরুতর আহত আনিসুর রহমান ছিদ্দিকুর রহমানের ভাতিজা।
এসএএইচ
