টাঙ্গাইল: পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের স্রোতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে যমুনা সেতু থেকে টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটারজুড়ে থেমে থেমে চলছে যান চলাচল।
এছাড়াও মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে জামুর্কি পর্যন্ত আরও প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। ঈদের আগ মুহূর্তে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, যানবাহন বিকল হওয়া ও দুর্ঘটনার কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, এই দুর্ভোগের মধ্যে অনেক পরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক যাত্রীকে ট্রাক ও বাসের ছাদে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর ৪টা থেকে আশেকপুর বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত শুরু হওয়া যানজট রাতভর অব্যাহত ছিল। এতে যানজট আরও দীর্ঘ হয় এবং করটিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
পুলিশ, চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত যে রাস্তা পার হতে ২ ঘণ্টা সময় লাগে, এখন তা পার হতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় এবং সেতুর স্বল্প ধারণক্ষমতার কারণে এ ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
যমুনা সেতুর ধারণক্ষমতা কম থাকায় স্বাভাবিক ভাবে গাড়ি পারাপার করতে পারছে না। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গাড়ীগুলো ভূঞাপুর দিয়ে ঘুরিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গগামী ও ঢাকামুখী যানবাহনের চাপে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ছোট-বড় ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ রয়েছে। আমাদের অংশে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে, তবে যানজট নিরসনে কাজ করছি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এমজে