২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, এই সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া করা যাবে না এবং দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে মুজিবুল আলমের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে গণতন্ত্রকে সমতা, আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। এর ফলে জনগণ তাদের ভোটাধিকার, ন্যায়বিচার, সামাজিক সুরক্ষা ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার জনগণের অধিকার আদায়ে গণআন্দোলনের ওপর জোর দেন। তিনি জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী আজ ৫-দফা গণদাবি জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে।
তিনি গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করার এবং নতুন ফ্যাসিবাদ রোধে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার নির্বাচনী অনিয়ম যেমন কালো টাকা, পেশিশক্তি ও কেন্দ্র দখল বন্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি দক্ষ আইনপ্রণেতা ও মানসম্মত সংসদ গঠনের জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, এই পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ সমর্থন করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দিয়ে তার আলোকে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান। তিনি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সচেতন নাগরিক ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
ইএসএস/আরএইচ