কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচারেরও দাবি জানিয়েছে দলটি।
এসব দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মোট ৫ দাবিতে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে তারা।
পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে জামায়াত। এ ছাড়া ২৬ সেপ্টেম্বর সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো-
জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম ও গণহত্যা, দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন ছাড়া বিকল্প নেই। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী এই পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছে।
জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দলের নেতাকর্মীরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য গত কয়েকমাস ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। তারা বলছেন, দাবি আন্দোলনের মাঠে নামা হবে। তবে বিএনপি এই দাবির বিপক্ষে।
তাহের বলেন, রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জুলাই জাতীয় সনদকে আইনগত ভিত্তি দিতে হবে। অন্যথায় জনগণের আত্মত্যাগ ও অর্জিত অভ্যুত্থান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। গণতন্ত্র ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
এনডি