ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা কমিশন পুনর্গঠনের দাবি তুলেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন দলের নেতারা। তারা জানান, এই দাবিতে তারা বুধবার বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবে।
কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করছে। ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটির ‘অবৈধ’ নির্বাচন নিয়ে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকাই দায়ী।
এনসিপির এই নেতার দাবি, ওই নির্বাচন নিয়ে মামলায় নজিরবিহীনভাবে নির্বাচন কমিশন লড়েনি। ফলে একতরফা রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ের পরে উচ্চ আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা না করে তারা মামলার বাদীকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে।
আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার পরিবর্তে এমন সব বক্তব্য দিয়েছে, যার সঙ্গে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সাযুজ্য রয়েছে। এই মামলার রায় ঘোষণার আগে ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণের প্রশাসক ঘোষণা করা হয়। ফলে পুরো মামলাটি অকার্যকর হয়ে যায়।
তিনি বলেন, রায় প্রকাশের পর গেজেট প্রকাশের আগে নির্বাচন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চাইলেও মতামত দেওয়ার আগেই রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা স্পষ্টতই পক্ষপাতমূলক।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ শাসনের সময়ে প্রণীত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ দিয়েই গঠিত, যা তখন সব ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল প্রত্যাখ্যান করেছিল। এ ছাড়া সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার আগেই এই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এফএইচ/আরএইচ