ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভুল চিকিৎসায় গবাদিপশুর মৃত্যুর অভিযোগ

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
ভুল চিকিৎসায় গবাদিপশুর মৃত্যুর অভিযোগ

মৌলভীবাজার: কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ড্রেসারের ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতী গাভীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গর্ভবতী গাভীটি মারা যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির অভিযোগ তুলে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেছেন বিক্ষুব্ধ খামারি।

রোববার (১৩ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কমলগঞ্জ পৌরসভার নছরতপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত খামারি ফটিক মিয়া।

তিনি জানান, গরু বর্গা নিয়ে ও অর্ধেক টাকা পরিশোধ করে তিন বছর ধরে একটি জার্সি গরুর বাচ্চা লালন পালনের পর সম্প্রতি সাড়ে ৮ মাসের গর্ভবতী হয় গাভী। ১৫ দিন পরই বাচ্চা প্রসব করার কথা। তবে শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার পর গত ৬ মার্চ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে গিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফ মইনুদ্দীনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তার সহকারী ঈমান আলীকে নিয়ে ফটিক মিয়ার বাড়িতে গরু দেখতে যান এবং ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন।

পরদিন ৭ মার্চ ফটিক মিয়া ঔষধ কিনে অফিসে গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করলে ড্রেসার লিটন মিয়াকে নিয়ে যেতে বলেন। বিকেলে লিটন মিয়া গিয়ে ঔষধ পুশ করা যাবে না বলে ৪টি প্যারাসিটামল খাওয়াতে বলেন।

৯ মার্চ আবারো লিটন মিয়া বাড়িতে গরু দেখে স্যালাইন ইনজেকশন দেওয়া যাবে না বলে জানান। এজন্য তাকে ২০০ টাকা ফি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার (১১ মার্চ) দুপুরে ফটিক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে ড্রেসার লিটন স্যালাইনের সঙ্গে ইনজেকশন দ্রুত বেগে গরুর গায়ে পুশ করান। স্যালাইনের অর্ধেক যেতে না যেতেই গরুটি মারা যায়।

খামারি ফটিক মিয়া এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন।

তবে অভিযোগ বিষয়ে ড্রেসার লিটন বলেন, স্যারের ব্যবস্থাপত্র এবং নিয়ম অনুযায়ী গরুর শরীরে ঔষধ প্রয়োগ করা হয়েছে। আমার কোনো ত্রুটি নেই।

কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফ মঈনুদ্দীন বলেন, কয়েকদিন ধরে গরুটি খুব অসুস্থ ছিল। আমি ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার তিনদিন পর ফটিক মিয়া ঔষধ দিয়েছেন। আমার চিকিৎসায় কোনো ভুল ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ১০০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
বিবিবি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।