দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টিকারী ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মণ্ডপে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টিকারী ও সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক জায়গাতেই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেদিন কালী মন্দির পরিদর্শন করতে গিয়ে কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন তারাও এরকম গুজবের খবর পেয়েছেন।
পূজায় নাশকতার শঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই। এবার মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সংখ্যাও বেড়েছে। এবার পূজা অবশ্যই ভালো হবে।
তিনি বলেন, আমি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছে কোথাও কারো মতো কোনো শঙ্কা নেই। কিছুসংখ্যক ফ্যাসিস্টের দোসর আছে, তারাই এসব প্রচার করে।
তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে গিয়েও বলেছেন। আমরা এটাকে সামনে নিয়েই আইনশৃঙ্খলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গতবারের চেয়ে প্রায় এক হাজার বেশি। পূজার নিরাপত্তার স্বার্থে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তারা ২ অক্টোবর পর্যন্ত মোট নয় দিন এই দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সারা দেশে প্রায় এক লাখ সেনা সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। সারা দেশে প্রায় ২৪টি বেস ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বিজিবির ৪৩০ প্লাটুন কাজ করছেন। প্রতিটি মণ্ডপে কমিটির সাতজন সদস্য পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবীদের এনটিএমসির অ্যাপের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পূজা উপলক্ষে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ৭০ হাজারের মতো পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।
জিসিজি /আরএইচ