ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী (এনডিসি) পূজা উদযাপন পরিষদকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ভক্তরা চলে যাওয়ার পর পূজামণ্ডপ যেন কখনো অরক্ষিত না থাকে। তাই রাত ১০টা থেকে সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে দুইজন স্বেচ্ছাসেবক অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শারদীয় দুর্গাপূজা-১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গৃহিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী জানান, পূজা মণ্ডপগুলোকে চার শ্রেণিতে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ ও আনসার সদস্য মিলিয়ে ন্যূনতম ১১ জন থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন পর্যন্ত মোতায়েন আছেন। রাজধানীর ২৫৪টি পুজামণ্ডপে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের পাশাপাশি পূজা কেন্দ্রিক প্রায় ২ হাজার ২০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের দিন অতিরিক্ত আরও প্রায় ২ হাজার ৪০০ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
তিনি আরও জানান, বিসর্জন শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে ওয়াইজ ঘাট পর্যন্ত আলাদা কনভয় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর পলাশী মোড়, রায় সাহেব বাজার ও ওয়াইজ ঘাটে তিনটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেকোনো ধরনের দুষ্কৃতকারীর অপচেষ্টা প্রতিহত করতে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড, ক্রাইম সিন টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি এবং প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি চালানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেন ঢাকায় এ বছর ৮৯টি পূজামণ্ডপ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। পূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে, কোনো ধরনের দুষ্টামি বা অপতৎপরতার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ডিএইচবি/জেএইচ