ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৩ জুন ২০২৫, ১৬ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ টাকা চুরি: নৈশপ্রহরীর স্বীকারোক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৮, জুন ১১, ২০২৫
ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ টাকা চুরি: নৈশপ্রহরীর স্বীকারোক্তি কেরানীগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তাররা (মাঝের তিনজন)।

ঢাকা: কেরানীগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় ওই শাখার নৈশপ্রহরী মো. সিয়াম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার (১১ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

একইসঙ্গে তার দুই সহযোগী আল আমিন হাওলাদার ও ইমরান শেখকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এ সময় আসামি সিয়াম আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করে পুলিশ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এছাড়া অপর দুই আসামির ৭ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য ১৫ জুন দিন ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুন রাতে রোহিতপুর বোর্ডিং মোড় এলাকার ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকটির ভল্ট ভেঙে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র। চুরির ঘটনার পরপরই ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তিনজনকে আটক করে।

এ সময় আসামি সিয়ামের ভাড়া বাসা থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আল আমিনের বাসা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইমরানের বাড়ি থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। চুরির কাজে ব্যবহৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন, লোহার শাবল, চাকু ও হার্ডডিস্কসহ সিসিটিভির ডিভিআর ডিভাইসও জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল হক ডাবলু জানান, ঈদের ছুটির কারণে ব্যাংকটি বন্ধ ছিল। এ সুযোগে পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের পেছনের দেয়ালে থাকা ওয়াশরুমের অ্যাডজাস্ট ফ্যান ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরার তার কেটে সিস্টেম অকার্যকর করে ফেলে। পরে ভল্ট ভেঙে নগদ অর্থ নিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে প্রথমেই নজরে আসেন নাইটগার্ড মো. সিয়াম। শুরুতে তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি ব্যাংকের বাইরে ছিলেন এবং অজ্ঞাত কেউ ভেতরে ঢুকে চুরি করে। তবে তার বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।

কেআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।