ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

যশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
যশোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

যশোর: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ১৮ বছর পর স্বামী ওসমান আলীকে মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানার আদেশ দিয়েছেন যশোরের আদালত।  

সোমবার (৮ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নীলুফার শিরিন এ আদেশ দিয়েছেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্ত ওসমান আলী ঝিকরগাছার দিঘড়ি গ্রামের আক্কাজ আলীর ছেলে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোাগে জানা গেছে, যশোরের ঝিকরগাছার সোনাকুড় গ্রামের সন্তোষ আলীর মেয়ে রাশিদা খাতুনকে বিয়ে করেন ওসমান আলী। একটি সন্তানের জন্মের পর থেকে ওসমান যৌতুকের দাবিতে রাশিদার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করেন। ২০০৪ সালের ৭ মার্চ রাতে ওসমান আলী বাড়িতে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে আসে। গভীর রাত পর্যন্ত তারা আনন্দ ফূর্তি করেন। পরদিন সকালে রাশিদার মরদেহ ঘরে ফেলে স্বামী ওসমানসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে ওসমান আলীর বাড়িতে আসে। এ ঘটনায় ৫ দিন পর নিহতের বাবা সন্তোষ আলী বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগে ওসমান আলীসহ ৫ জনকে আসামি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।  

আসামিরা হলেন- দিঘড়ি গ্রামের বাসিন্দা নিহতের স্বামী ওসমান আলী, সাবুলের ছেলে কুতুব আলী, রজবালীর ছেলে ফজর আলী, আব্দুল খালেকের ছেলে সাদেক আলী ও আব্দুল্লাহ গাজীর রছেলে মাহাবুবুর রহমান ওরফে কালু। আদালতের আদেশে ওই বছরের ৩ মে ঝিকরগাছা থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়।

এ মামলার তদন্ত শেষে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়ায় ওই বছরের ৪ জুলাই নিহতের স্বামী ওমসান আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান। চার্জশিটে অপর ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যহতির আবেদন জানানো হয়।

দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি ওসমান আলীর বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রামাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ওসমান আলী পলাতক আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।