জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে দ্বিতীয় দিনে জবানবন্দি সম্পন্ন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনালে এ জবানবন্দি দেন তিনি।
জবানবন্দি শেষে নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের কাছে ভিকটিমদের পক্ষ থেকে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছি। শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রধানদের দায়ী করেছি। যারা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে তাদের দায়ী করেছি। তাদের বিচার ও কঠোর শাস্তি আদালতের কাছে প্রত্যাশা করেছি।
এর আগে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আংশিক জবানবন্দি দিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।
প্রথম দিনের জবানবন্দির বিষয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ৪৭তম সাক্ষী নাহিদ ইসলাম আন্দোলনের এক নম্বর সমন্বয়ক। তিনি তার জবানবন্দি আংশিক দিয়েছেন। জবানবন্দির শুরুতে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন বর্ণনা দিয়েছেন। তারপর বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনের বর্ণনা শুরু করেছেন। যার কিছু অংশ তথা ১৯ জুলাইয়ের কিছু অংশ পর্যন্ত বর্ণনা দিয়েছেন।
এর আগে বুধবার ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে দৈনিক আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি ও জেরা শেষ হয়েছে।
এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এর আগে গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
ইএস/আরবি