ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের অভিবাসী নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রযুক্তিবিদরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
ট্রাম্পের অভিবাসী নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রযুক্তিবিদরা প্রযুক্তিবিদদের কয়েকজনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের স্ক্রিনশট

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে ৭টি মুসলিম প্রধান দেশের অভিবাসী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারিতে সমালোচনার ঝড় চলছে। চলছে নয়া প্রেসিডেন্টের কাণ্ডজ্ঞানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশও। এই বিক্ষুব্ধদের মিছিলে যোগ দিয়েছেন দেশটির প্রযুক্তিবিদরা। তারা বলছেন, ট্রাম্পের এই অভিবাসী নিষেধাজ্ঞা একেবারেই ‘গোঁড়ামি এবং ‘অ-আমেরিকানসুলভ’।

শুক্রবার (২৭ ‍জানুয়ারি) প্রেসিডেন্টের ওই নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই এর বিরুদ্ধে আলোচনা শুরু হয়। অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক থেকে শুরু করে মাইক্রোসফট, এয়ারবিএনবি ও বক্সের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কর্তা ব্যক্তিরা এখন প্রায় একই সুরে বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা কর্মীদের হৃদয়ে আঘাত করবে এবং তাদের সৃজনশীলতায় প্রভাব ফেলবে।

অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক তার কর্মীদের এক বার্তায় বলেন, “অভিবাসী ছাড়া অ্যাপলের অস্তিত্ব থাকবে না। চলো আগের মতোই আমরা সাফল্যের পথে বদলে দিই। ”

কিছু প্রযুক্তিবিদ আরও জোর শব্দ তুলেছেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ড্রপবক্স, এয়ারবিএনবি, রেডিট ও ইনসটাকার্টে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াই কম্বিনেটরের প্রধান স্যাম আলটম্যান বলেন, “আমেরকায় থাকা অভিবাসীদের সঙ্গে আমাদের যে সমঝোতা রয়েছে তার লঙ্ঘন করেছে এই আদেশ। ”

ইবে’র প্রতিষ্ঠাতা পিয়েরে ওমিড্যার ক্ষেপে গিয়ে ট্রাম্পের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি টুইট করেন, “ট্রাম্পের এ আদেশ একেবারেই গোঁড়ামি। ” 

মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা বলেন, “একজন অভিবাসী ও সিইও হিসেবে আমি আমাদের কোম্পানির ওপর, দেশের ওপর এবং বিশ্বের ওপর অভিবাসীদের ইতিবাচক প্রভাব দেখেছি এবং বুঝেছি। ”

গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই বলেন, “আমরা এই আদেশের প্রভাব কী হবে তা ভেবে হতাশ। এ ধরনের আদেশ গুগলার ও তাদের পরিবারকে বাধাগ্রস্ত করবে যাতে আমেরিকায় সেরা মেধাবীদের আসাটাও বাধাপ্রাপ্ত হবে। ”

চীনা অভিবাসী ঘরের কন্যা প্রিসিলা চ্যানকে বিয়ে করা ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ তার পোস্টে বলেন, “এই আমেরিকা অভিবাসীদের এবং এজন্য আমাদের গর্ব করা উচিত। সবার মতো আমিও এই নির্বাহী আদেশের প্রভাব কী হবে তা ভেবে উদ্বিগ্ন। ”

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে মার্কিন মুলুকে ৪ মাসের যেকোনো ধরনের শরণার্থী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আর সিরিয়ার ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা জারি হয় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত। ট্রাম্প তার আদেশে সিরিয়া ছাড়াও মুসলিমপ্রধান আরও ৬টি দেশের ভিজিটর বা দর্শনার্থী প্রবেশ পর্যন্ত বন্ধ করে দেন ৩ মাসের জন্য। সে ৬টি দেশ হলো ইরাক, ইরান, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদান।

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
এইচএ/

আরও পড়ুন
** পুতিনের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপ ট্রাম্পের​
** ট্রাম্পের সমালোচনা, অভিবাসীদের কানাডায় স্বাগত ট্রুডোর​
** বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্র না ছাড়ার পরামর্শ আইনজীবীদের
** ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার মেয়ররা
** ট্রাম্পের অভিবাসী নিষেধাজ্ঞা আদালতে স্থগিত

** অভিবাসী প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা অবৈধ
** শরণার্থী নিষেধাজ্ঞায় ট্রাম্পের সমালোচনা জুকারবার্গের
** শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।