ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

কলকাতায় আজ পহেলা বৈশাখ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
কলকাতায় আজ পহেলা বৈশাখ 

কলকাতা: ১৪২৯ বাংলা বর্ষকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর ১৪৩০ সালকে বরণ করে নিল কলকাতা। যদিও শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে বাংলাদেশ।

 

তবে পশ্চিমবঙ্গের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শনিবার (১৫ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে কলকাতার রাজপথ ছিল আনন্দ মুখর। বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষ সম্প্রীতি বজায় রেখে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করেন।  

মাথায় ওপর চড়া রোদ, গরমে নাজেহাল শহরবাসী। তারইমধ্যে সব বিভেদ ভুলে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে -বঙ্গবাসী আজ বাঙালি হওয়ার উৎসবে মেতেছেন। শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সকলে সমস্বরের প্রতিধ্বনি শোনা গেল - আমি বাঙালি, আমরা বাঙালি।

অশুভ শক্তির বিনাশের কামনায় শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন, শহরের সব বয়সী মানুষেরা। শোভাযাত্রার সূচনা করেন একজন কারিগর। বেহালা বাদক রহমত আলী। পা মেলান বিশিষ্টরা। মঙ্গল শোভাযাত্রায় সঙ্গীত ও নৃত্যর মধ্যদিয়ে পা মেলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কলকাতায় এবারের শোভাযাত্রার ক্যাপশন ছিল, ‘ধর্ম যার যার - এদেশ সবার’।

মুক্তিযুদ্ধ সম্মান প্রাপ্ত কলকাতাবাসী প্রবীণ সাংবাদিক দিলীপ ঘোষ বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। এবং বাঙালির একমাত্র ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব এই পহেলা বৈশাখ। এই উৎসব বাঙালির মননে যত প্রসারিত হবে। তত বাংলা থেকে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত হবে।  

বিশিষ্ট অধ্যাপক পবিত্র সরকার বলেন, আমাদের রাষ্ট্র, যেভাবে বিভাজন করার চেষ্টা করছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের ৩৬৫ দিন সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। এবং সেই কারণেই জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পহেলা বৈশাখের মত উৎসবকেই বেছে নিতে হবে।

শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা সুব্রত সাহা বলেন, মাঝের করোনা বাদ দিলে দক্ষিণ কলকাতা থেকে প্রতিবছরই সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে আমরা পহেলা বৈশাখের দিন মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে থাকি। বাংলার যে সম্প্রীতি, ধর্মমত নির্বিশেষে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলার সংস্কৃতি, সেটাই আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করি। কারণ, আমরা মনে করছি বর্তমান সময় মানুষের মধ্যে সেই সম্প্রতি ভীষণভাবে বিধ্বস্ত হচ্ছে।  

বিশিষ্ট কবি পূর্ণেন্দু অধিকারী বলেন, পহেলা বৈশাখ সব মানুষের উৎসব। কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের নয়। বাঙালির জীবনে জড়িয়ে থাকা উৎসব। তাই বাঙালির নববর্ষ আজ সম্প্রীতি দিবস হিসেবে পালন করা উচিত।

সামাজিক হানাহানি ও অস্থিরতা উপেক্ষা করে সবার জীবন ভরে উঠুক পূর্ণতায়। এটাই ছিল আজ কলকাতার বাঙালির প্রত্যাশা। কারণ, এই দিনটার জন্যই সারাবছর অপেক্ষা করেন বাংলার বাঙালিরা। পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ন নির্বিশেষে একটাই পরিচয় জানান দেয়। আমি বাঙালি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, ১৫ এপিল, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।