ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

নকল ওষুধ বন্ধে বিসিডিএসর আল্টিমেটাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৪
নকল ওষুধ বন্ধে বিসিডিএসর আল্টিমেটাম ছবি : জিএম মুজিবুর /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে  ডাক্তাররা যদি আন-রেজিস্টার্ড ওষুধ প্রেসক্রিপশন  করা বন্ধ না করেন, তবে আগামী ১৬-১৭ ডিসেম্বর সারাদেশের ওষুধের দোকান ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার আল্টিমেটাম দিয়েছেন  বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির (বি.সি.ডি.এস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেশন সেন্টার-২ এ বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি (বি.সি.ডি.এস), ঢাকা জেলা শাখা ও কেমিস্টস মহাসমাবেশ প্রস্তুত কমিটি ২০১৪  আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন।



‘নকল ও ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে মহাসমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির কো-স্পন্সর স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সুপার মম ডায়াপার।  
 
মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান বলেন, ওষুধ প্রশাসন ও কেমিস্টস এক সাথে কাজ করলে দেশে নকল ওষুধ বন্ধ হয়ে যাবে।   তাই আমাদেরকে ওষুধ প্রশাসনকে সাহায্য করতে হবে। সেই জন্য আমরা সমিতির পক্ষ থেকে যারা ভেজাল ওষুধের ব্যবসা করছেন তাদের তালিকা দেবো।   আশা করি ওষুধ প্রশাসন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
 
এসময় তিনি বলেন, শুধু আমরা এগিয়ে আসলেই চলবে না ডাক্তারদেরও আন-রেজিস্টার্ড ওষুধ প্রেসক্রিপশন করা থেকে সরে আসতে হবে। তা না হলে এই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখবে না। ডাক্তাররা যেই প্রেসক্রিপশন লেখেন রোগীরা সে ওষুধই চায়। আর সেই জন্য ওষুধের দোকনদাররা বিক্রির জন্য লোভে পড়ে সেই সব ভেজাল ওষুধ রাখেন ।

কেমিস্টসদের উদ্দেশ্য করে মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান বলেন, আজকে আপনারা ওয়াদা করুন আজকের পর থেকে দোকানে কোনো আন-রেজিস্টার্ড ওষুধ রাখবেন না।   ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনারা যদি আন-রেজিস্টার্ড ওষুধের প্রেসক্রিপশন লেখা বন্ধ না করেন তাহলে আগামী ১৬-১৭ ডিসেম্বর সারাদেশের সকল ওষুধের দোকান ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হবে।
 
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক বলেন, ডাক্তারদের মতো আপনারাও (কেমিস্টস) মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন তাই আপনাদেরও সচেতন হতে হবে। মানুষের সেবার জন্য আরো এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের দোকানো আন-রেজিস্টার্ড কোনো ঔষুধ রাখবেন না এবং প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ বিক্রি করবেন না।   আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আপনার যারা লাইসেন্সকৃত দোকানদার রয়েছেন তারা অনেকেই দোকানে সেই লাইসেন্স ঝুলিয়ে রাখেন না। এই অভ্যাসটি ছেড়ে দিতে হবে। আপনারা যদি আপনাদের দোকানের লাইসেন্স ঝুলিয়ে রাখেন তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে কারা বৈধ আর কারা অবৈধ।

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে ওষুধ বিক্রি করতে দেবো না এটা আমার ওষুধ প্রশাসনের অঙ্গীকার। আর আমরা সেটা বাস্তবায়ন করবোই তবে সেজন্য আপনাদের সাহায্য দরকার।

কারণ আপনারাই ভালো জানেন কারা লাইসেন্সবিহীন। তাদের তালিকা আমাদের দিন আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
 
ওষুধের দোকানে আন-রেজিস্টার্ড ওষুধ না রাখার জন্য কেমিস্টসদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধগুলো দোকানের একটি আলাদা স্থানে রাখুন এবং সেখানে লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে দিন। দয়া করে কোনো মানুষের কাছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করবেন না।
 
বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি (বি.সি.ডি.এস) ঢাকা জেলা শাখার অবৈতনিক সম্পাদক এবং কেমিস্টস মহাসমাবেশের প্রস্তুত কমিটি-২০১৪’র  আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু বকর খান মিলনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন,  বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আবুল খায়ের চৌধুরী, এ.এ.সেলিম বারামী, মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, কেমিস্টস মহাসমাবেশ প্রস্তুত কমিটি ২০১৪’র উপদেষ্টা মোহাম্মদ সোলায়মান দেওয়ান প্রমুখ।
 
 অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট প্রদান করেন কেমিস্ট মহাসমাবেশ ২০১৪’র যুগ্ম আহ্বায়ক ও বৃহত্তর যাত্রাবাড়ি থানা উপ-শাখার সভাপতি  মোহাম্মদ সফিউদ্দিন আহমেদ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা,নভেম্বর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।