যত ভালো খাবারই হোক, কাজে বেরোনোর আগে খাওয়ার সময় হয় না। রোজই প্রায় নাকেমুখে গুঁজে দৌড়তে হয়।
‘মাইন্ডফুল ইটিং’ কী?
খাবারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার সহজ পন্থা হলো এই মাইন্ডফুল ইটিং। যার নেপথ্যে রয়েছে সচেতনতা। স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেকে বিভিন্ন রকম পন্থা বেছে নেন। কেউ নিজের খাবার তালিকায় শুধু প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখেন। আবার কেউ শুধু তরল খাবার খেয়েই শরীরে অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর লক্ষ্য নিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনার শরীর কী চাইছে বা যে খাবার আপনি খাচ্ছেন, তা আপনার জন্য আদৌ প্রয়োজন কি না, এ সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করাও মাইন্ডফুল ইটিংয়ের মধ্যে পড়ে।
‘মাইন্ডফুল ইটিং’র সঙ্গে খিদের পাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে?
অবশ্যই, খিদে পেয়েছে বলে খাচ্ছেন, না কি শুধুমাত্র চোখের খিদে থেকে খাচ্ছেন, এই বিষটির ফারাক বোঝা জরুরি। খিদে না পেলেও অনেকে মন ভালে করার জন্য পছন্দের খাবার খেয়ে ফেলেন। কখনও সিনেমা বা সিরিজ দেখতে দেখতে নিজের অজান্তেই বেশি পরিমাণ খাবার খেয়ে ফেলেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, পরিমাণে কম খাবার খেয়েও কিন্তু মনের দিক থেকে ভালো থাকা যায়। যদি খাবারের সঙ্গে সেই সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়।
মাইন্ডফুল ইটিঙের অভ্যাস করবেন যেভাবে
পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস শুরু করতে হবে মুদিখানার বাজারে তালিকা করার সময় থেকেই। কোন খাবারের কেমন পুষ্টিগুণ তা জেনে, তবেই কিনবেন। এ ছাড়াও সারা দিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। পাশাপাশি যখন যে খাবারই খান তার স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ— সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে নিতে হবে। সব খাবার সময় নিয়ে চিবিয়ে, মনোনিবেশ করে খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।
এএটি