প্রথমে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। এরপর সেলেসাওরা হয়তো সহজ জয়ের আশাই করছিল।
টোকিওর আজিনোমোতো স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে আজ স্বাগতিকরা ব্রাজিলিয়ানদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে। পাওলো হেনরিক ও গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। এরপর তাকিনো মিনামিনো, কেইটো নাকামুরা ও আয়াসে উয়েদারের গোল জাপানের জয় নিশ্চিত করে।
ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা পেতে জাপানকে অপেক্ষা করতে হলো দীর্ঘ ৩৬ বছর। ১৯৮৯ সালে যে যাত্রার শুরু হয়েছিল ১-০ গোলের হার দিয়ে, অবশেষে চতুর্দশ ম্যাচে এসে সেই ব্রাজিলকে হারানোর স্বাদ পেল জাপান। এর আগে ১৩ বারের দেখায় জাপানের সেরা সাফল্য ছিল দুটি ড্র।
অথচ কার্লোস আনচেলত্তির অধীনে দুরন্ত ফর্মে থেকে উড়ছিল ব্রাজিল। শেষ ম্যাচেই তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল। এই ম্যাচের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ব্রুনো গুইমারেসের পায়ে সাম্বার পুরোনো ছন্দ ফিরিয়ে এনে প্রথমার্ধেই দুই গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় সেলেসাওরা।
প্রথম গোলটি ছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের দারুণ এক বিজ্ঞাপন। ২৬ মিনিটে মাঝমাঠে সতীর্থের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে জাপানের বক্সে দুর্দান্ত এক পাস বাড়ান ব্রুনো গুইমারেস। রক্ষণভাগ থেকে আক্রমণে উঠে আসা পাওলো এনরিকে সেই বল নিখুঁত শটে জালে জড়ান।
এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও জাপানের জালে বল। এবার উদযাপনের মধ্যমণি আর্সেনাল স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। ৩২ মিনিটে লুকাস পাকেতার চিপ করে বাড়ানো বলটি হাফ-ভলিতে জাপানের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে পাঠান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের চিত্র বদলে যায়। খেলা শুরুর সাত মিনিটের মাথায় ডিফেন্ডার ফাব্রিসিও ব্রুনোর ভুলে ডি-বক্সে একটি আলগা বল পেয়ে যান মিনামিনো। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে জোরালো শটে গোলরক্ষক হুগো সুজাকে পরাস্ত করে তিনি ব্যবধান কমান।
সমতায় ফিরতেও বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। ব্যাকপোস্টে থাকা নাকামুরার শট হতভাগ্য ব্রুনোর পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়ালে ম্যাচে ফেরে জাপান।
এর ঠিক পরেই উয়েদার একটি শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে, কিন্তু মিনিটখানেক পরেই বুলেট গতির এক হেডে জাপানকে অবিশ্বাস্যভাবে এগিয়ে দেন তিনি।
শেষদিকে ব্রাজিল ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালালেও জাপান ঠান্ডা মাথায় তাদের সমস্ত আক্রমণ সামাল দেয়। শুধু তাই নয়, উল্টো বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল স্বাগতিকরা।
এমএইচএম