সিনিয়র ও অনূর্ধ্ব-২০ দলের পর এবার এএফসি এশিয়ান কাপের পথে নামছে বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৭ মেয়েরা। নতুন ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন নিয়ে আজ মাঠে নামবে অর্পিতা বিশ্বাস ও তার সতীর্থরা।
বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় আকাবা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক জর্ডানের মুখোমুখি হবে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যারা। এই ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে তাদের বাছাই পর্ব।
জর্ডান বাংলাদেশের জন্য অপরিচিত নয়। কয়েক মাস আগেই দেশটির সফরে গিয়ে সিনিয়র নারী দল জর্ডানের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল। সেই সফরে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষেও গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সেই অভিজ্ঞতা এবার অনূর্ধ্ব-১৭ দলের জন্য বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।
মূল পর্বের আগে প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ দল সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে দুটি প্রীতি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে টিটুর দল। সিরিয়াকে ২-০ এবং স্বাগতিক আমিরাতকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে দারুণভাবে প্রস্তুতি সম্পন্ন করে মেয়েরা।
প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস দুটিই এখন দলের মূল শক্তি। জর্ডানে পৌঁছে গত শুক্রবার থেকে নিবিড় অনুশীলনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে লাল-সবুজ দল। কোচ টিটু জানিয়েছেন, সিনিয়র ও অনূর্ধ্ব-২০ দলের সাফল্যই তাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের মেয়েরা জানে, তাদের আগের দুই দল এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে। আমরাও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। '
তবে কাজটি সহজ নয়। ‘এইচ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জর্ডান ও চাইনিজ তাইপে দুটি দলই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে। চাইনিজ তাইপে ৪২ নম্বরে, জর্ডান ৭৬ নম্বরে, আর বাংলাদেশ ১০৪তম অবস্থানে। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের তুলনায় পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশ আশাবাদী লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
গ্রুপের তিন দলের মধ্যে কেবল শীর্ষ দলই মূল পর্বে খেলতে পারবে। তাই প্রতিটি ম্যাচই ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ। টিটু বলেন, গ্রুপটা নিঃসন্দেহে কঠিন, কিন্তু আমাদের মেয়েরা প্রস্তুত। আমরা মাঠে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে চাই।
প্রথম ম্যাচে আজ জর্ডানের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ, আর ১৭ অক্টোবর তাদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে। তার আগে ১৫ অক্টোবর মুখোমুখি হবে জর্ডান ও চাইনিজ তাইপে।
এআর/এএটি