ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ চৈত্র ১৪৩২, ১৫ মে ২০২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিক্ষা

নেতাকর্মী আক্রান্ত হলে সরকার পতনের আন্দোলনে নামবে ছাত্রদল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৪, মে ১৪, ২০২৫
নেতাকর্মী আক্রান্ত হলে সরকার পতনের আন্দোলনে নামবে ছাত্রদল ভিসি চত্বরের সামনে থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ছাত্রদল

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটি বলছে, ভবিষ্যতে কোনো নেতাকর্মী আক্রান্ত হলে সরকার পতনের আন্দোলনে নামবে তারা।

একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছে সংগঠনটি। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে ছাত্রদলের পক্ষে এমন হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের অভিযানে রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতাল থেকে তামিম, মল্লিক ও পলাশ নামে তিনজনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, আটকরা থাকতেন এবং মাদক সেবনের উদ্দেশ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।

বুধবার যোহরের নামাজের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সাম্যের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ভিসি চত্বরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে করে ছাত্রদল। এর আগে

সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ছাত্রদল রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে যা কেন্দ্রীয় মসজিদ, মধুর ক্যান্টিন হয়ে উপাচার্য চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ক্যাম্পাস কমিটির নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাইনি। এর আগেও ঢাবি এলাকায় মাদকসেবীদের দ্বারা আমাদের ছাত্ররা আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, স্যারদের মূল দায়িত্ব ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ছাত্রলীগের দোসরদের বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু আমরা এ বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা পাইনি। তাদের এ ধরনের নীরব ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, ছাত্রসমাজের মধ্য থেকে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। আশা করি, তারা সেই দাবি শুনবেন ও পদত্যাগ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।

রাকিব বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত করে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আর যদি ভবিষ্যতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কোথাও ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী আক্রান্ত হয়, এবং সরকার কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তবে সরকার পতনের আন্দোলনে রাজপথে নামবে ছাত্রদল। আমরা ছাড় দিয়ে কথা বলবো না। আমরা রক্ত ভয় করি না।

এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ