ঢাকা: তৈরি পোশাক শিল্পে এখনও বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন বাজার হিসেবে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি তরুণ ও অভিজ্ঞ উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে বিজিএমইএ’র ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচন উপলক্ষে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উদ্যোক্তারা। অনুষ্ঠানে প্যানেল লিডার আবুল কালাম আজাদ ইশতেহারের মূল দিকগুলো তুলে ধরেন।
ইশতেহারে বলা হয়, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর কারখানার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং শিক্ষিত, উদ্ভাবনী তরুণদের অংশগ্রহণ পোশাক খাতে নতুন দিগন্ত খুলেছে। অভিজ্ঞতা ও উদ্যমের সমন্বয়ে গঠিত নেতৃত্ব শ্রমিক, উদ্যোক্তা ও বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, মাত্র ১২ হাজার ডলারের রপ্তানি দিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যায়ও বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে।
ইশতেহারে বন্ড সুবিধা, গ্রিন চ্যানেল চালু, সোর্স ট্যাক্স হ্রাস, ভ্যাট-কাস্টমস ব্যবস্থার সংস্কারসহ বেশ কিছু নীতি সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা, নারী নেতৃত্ব ও এসএমইদের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর সেবা কাঠামো গঠনের কথাও বলা হয়।
এছাড়া রপ্তানি প্রস্তুতি ডেস্ক, বাজার বিশ্লেষণ সেল, ডিজিটাল ফ্যাক্টরি টুলস এবং স্মার্ট ফ্যাক্টরি রোডম্যাপ তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়, যাতে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও উৎপাদন দক্ষতা বাড়ানো যায়।
জেডএ/এসআইএস