ঢাকা: ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন কোনো ব্যবসায়ী টানা দুই মেয়াদের বেশি নির্বাচন করতে পারবে না। একই সঙ্গে কমিটির সব সদস্যকে পরিচালনা পরিষদে আসতে হলে অবশ্যই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।
বুধবার (২১ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাণিজ্য সংগঠনের এ বিধিমালা জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন কোনো ব্যবসায়ী টানা দুই মেয়াদের বেশি নির্বাচন করতে পারবে না। একই সঙ্গে সংগঠনের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সহসভাপতি সহপরিচালক বা নির্বাহী কমিটির সব সদস্যকে অবশ্যই ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে পরিচালনা পরিষদে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ফেডারেশনের পরিচালনা পরিষদে একজন করে সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতির পাশাপাশি দুই জন সহসভাপতি, চেম্বার থেকে নির্বাচিত পরিচালক ১৫ জন, অ্যাসোসিয়েশন থেকে ১৫ জন, চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে মনোনীত পরিচালক ৫ জন করে, উইমেন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে ১ জন করে মনোনীত পরিচালকসহ মোট ৪৬ জন পরিচালক থাকবে অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনা পরিষদে। যে সংখ্যাটা আগে দ্বিগুণ ছিল। পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ আগের মতোই দুই বছর রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ বিধিমালা জারির মাধ্যমে অবশ্য এফবিসিসিআইয়ে নির্বাচন কেন্দ্রিক যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল তা কাটার সুযোগ তৈরি হলো। এফবিসিসিআইয়ের যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছিল সেটা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো সমস্যা রয়েছে। ইতোপূর্বে শব্দ তুলে দিয়ে সরকার আগে যেখানে খসড়ায় টানা দুই মেয়াদের পর এক মেয়াদ গ্যাপ দেওয়ার কথা বলা ছিল সেটাকে এখন দুই মেয়াদ গ্যাপ দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
এফবিসিসিআই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পরিচালক আবু মোতালেব বলেন, ‘আগে দুই মেয়াদের পর এক মেয়াদ গ্যাপ দেওয়ার কথা বলা ছিল, এটা এখন দুই মেয়াদ করা হয়েছে। কারণ আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে ‘সাবেক পরিচালকদের’ নির্বাচন করা নিয়ে যে সংকট তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল সেটা বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দিয়ে নতুন করে গ্যাপের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এতে করে চেম্বার অ্যাসোসিয়েশনগুলো বিপদে পড়বে। কারণ কোন কোন চেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের এত বেশি সদস্যই নেই। দুইবার গ্যাপ দিতে গেলে নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটাও এক ধরনের ষড়যন্ত্র। যাতে করে একটা পক্ষ সুবিধা নিতে পারে।
জিসিজি/জেএইচ