বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে আগেই। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই এখন সফরকারীদের একমাত্র লক্ষ্য।
দ্বিতীয় ম্যাচে বল করার সময় চোট পেয়েছেন তিনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিং করতে গিয়ে কুঁচকিতে টান অনুভব করেন। কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার বল হাতে নিলেও তখনই বুঝতে পারেন, আর বোলিং চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। মাত্র তিন বল করেই মাঠ ছাড়েন ফিজিওর সহায়তায়।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, লাহোরেই শরিফুলের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও রিপোর্ট হাতে না পেলেও প্রাথমিকভাবে চোটের মাত্রা বিবেচনায় তাকে আর মাঠে নামানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। অর্থাৎ, পাকিস্তান সফরে আর মাঠে নামা হচ্ছে না এই পেসারের।
শ্রীলঙ্কা সফর নিয়েও শঙ্কা
শরিফুলের চোট কতোটা গুরুতর, সেটা নির্ভর করবে মেডিকেল রিপোর্টের উপর। তবে দল ইতোমধ্যেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, কারণ আগামী মাসেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা সফর। চোট দীর্ঘমেয়াদী হলে সেই সফরেও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারেন শরিফুল।
‘মোমেন্টাম হাতছাড়া হয়ে যায়’ — লিটন
শরিফুলের হঠাৎ মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পরই ম্যাচে ভারসাম্য হারায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাস ম্যাচ শেষে বলেন, "আমার মতে, যখন শরিফুল চোটে পড়ল, তখন থেকেই মোমেন্টাম পুরোপুরি ওদের দিকে চলে যায়। আমরা জানতাম, বোলিংয়ে আমাদের ঘাটতি ছিল। "
দলের একমাত্র বাঁহাতি পেসার হিসেবে শরিফুল ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। তার না থাকা শেষ ম্যাচে বোলিং আক্রমণকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে।
এমএইচএম