সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হার এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে পরপর দুই ম্যাচে পরাজয়—সব মিলিয়ে ফলাফলটা যেন আগে থেকেই লেখা ছিল। শেষ পর্যন্ত বাস্তবও হলো সেটাই।
টানা চার ম্যাচে হারার ধাক্কায় বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট কমেছে ৫—আগের ২২৫ থেকে নেমে এসেছে ২২০–এ। ফলে ২২৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে টপকে গেছে আফগানিস্তান, উঠে গেছে ৯ নম্বরে। বাংলাদেশের ঠিক নিচে, ১১ নম্বরে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, যাদের রেটিং ২০২।
র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে বর্তমান টি–টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত (২৭১)। এরপর আছে অস্ট্রেলিয়া (২৬২), ইংল্যান্ড (২৫৪), নিউজিল্যান্ড (২৪৯) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২৪৬)। দক্ষিণ আফ্রিকা (২৪৫) ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে যথাক্রমে ছয় ও সাত নম্বরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতে পাকিস্তান আছে আগের মতোই আট নম্বরে, তবে তাদের রেটিং বেড়ে এখন ২২৯।
একই সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে চমক দেখিয়ে সিরিজ জয়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতও পেয়েছে র্যাঙ্কিংয়ে ইতিবাচক ফল। তাদের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৩, অবস্থান ১৫ নম্বরে।
এটা বাংলাদেশের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের একটা প্রতিচ্ছবি। কারণ, র্যাঙ্কিংয়ের বার্ষিক হালনাগাদের পর ওয়ানডেতেও পিছিয়ে পড়েছে দলটি। সেই ফরম্যাটে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সপ্তম থেকে নেমে অষ্টম। টেস্টেও রয়েছে নবম স্থানে।
টি–টোয়েন্টিতে একসময় আশাব্যঞ্জক অবস্থানেও ছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর একসময় উঠে এসেছিল র্যাঙ্কিংয়ের চতুর্থ স্থানে। সে সময় টাইগাররা টপকে গিয়েছিল পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এমনকি ভারতকেও।
এমএইচএম