ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সংসদে আগের অবস্থানেই থাকবে ১৪ দলের শরিকরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
সংসদে আগের অবস্থানেই থাকবে ১৪ দলের শরিকরা

ঢাকা: আগের অবস্থানই অব্যাহত রেখে একাদশ জাতীয় সংসদে ভূমিকা পালন করবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দলগুলো। বিষয়টি নিয়ে জোটে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো অবস্থানে যাবে না জোট শরিকরা।

১৪ দলের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা জানান, যেসব ইস্যুর উপর ভিত্তি করে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল তার মূল বিষয়গুলো এখনও প্রাসঙ্গিক। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির তৎপরতা এখনও অব্যাহত আছে।

এই অবস্থায় ১৪ দলের প্রয়োজনীয়তা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এই প্রেক্ষাপটে ১৪ দলের ঐক্য ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি গত দুইটি সংসদে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর সদস্যরা যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন একাদশ সংসদেও সেই একই ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন।  

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বাংলানিউজকে বলেন, সংসদে এবং সংসদের বাইরে আমাদের আগের যে অবস্থান ছিলো সেটা অব্যাহত থাকবে। আমরা বার বারই এটা বলছি। এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমরা যা ছিলাম তাই আছি। আওয়ামী লীগ কি বলেছে সেটা বিষয় না। এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।  

১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা আরও জানান, অতীতে নবম ও দশম জাতীয় সংসদে ১৪ দলের শরিক দলগুলো জোটে থেকেও নিজ নিজ দলীয় অবস্থান থেকে গঠনমূলক ভুমিকা রেখেছেন। শরিক দলের নেতারা সরকারেও মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এই অবস্থায় সরকার ও সংসদে যে কার্যক্রম যৌক্তিক সেগুলোকে ১৪ দলের শরিকরা সমর্থন করেছে। যেগুলো ১৪ দলের আদর্শ ও নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে সেগুলোর সমালোচনা ও বিরোধীতাও করা হয়েছে। সংসদের ভেতরে ও বাইরে শরিক দলের সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ দলীয় অবস্থান থেকে সোচ্চার ছিলেন। আগামীতেও সংসদে এবং সংসদের বাইরে একই অবস্থান অব্যাহত থাকবে।  

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে। বিকেল ৩টা এই অধিবেশন বসবে। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ দুইটি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দুইটি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) একটি ও তরিকত ফেডারেশন একটি আসনে জয়ী হয়।  

গত ১৭ জানুয়ারি এক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ১৪ দল আছে, থাকবে। তবে ১৪ দলের শরিকরা বিরোধী দলে থাকলে তাদের জন্যও ভালো, আমাদের জন্যও ভালো। সংসদে তারা যদি বিরোধী দলের আসনে বসে দায়িত্বশীল বিরোধিতা করেন, সেটা সরকারের জন্যও ভালো, তাদের জন্যও ভালো।  

১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা জানান, সম্প্রতি আওয়ামী লীগের দিক থেকে যে বিরোধী দলের ভূমিকার কথা বলা হয়েছে সেটা নিয়ে ১৪ দলে কোনো আলোচনা হয়নি। শরিকদের মতামত বা আলোচনা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফলে এই ধরনের কোনো বক্তব্য ১৪ দলের শরিকদের অবস্থানের ক্ষেত্রে নতুন কোনো প্রভাব পড়বে না। জোটে আলোচনা বা নতুন কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া ১৪ দলের শরিকদের অবস্থানের পরিবর্তন হচ্ছে না বলেও তারা জানান। তবে এ ধরনের কোনো চিন্তা বা প্রস্তাব আওয়ামী লীগের থাকলে সেটা নিয়ে জোটে আলোচনা করা জরুরি।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যেভাবে আছি সেভাবেই থাকবো। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংসদে ১৪ দলের সদস্যদের ভূমিকা কি হবে সেটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। প্রয়োজনে এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যখন আলোচনা হবে তখন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯ 
এসকে/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।