ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ভারতীয় দূতাবাসের সড়ক ফেলানীর নামে করার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৬
ভারতীয় দূতাবাসের সড়ক ফেলানীর নামে করার দাবি ছবি: পিয়াস/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়ক ফেলানীর নামে করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘ফেলানী ও আমাদের গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ দাবি জানান।


 
অল কমিউনিটি ফোরামের আয়োজনে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামছুজ্জামান দুদু, সাবেক এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া প্রমুখ।
 
বক্তরা বলেন, ফেলানী হত্যার ৫ বছর হয়ে গেলো, এতোদিনেও বিচারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আসলেই আমরা ব্যর্থ। অন্তত এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়ক ফেলানীর নামে নামকরণ করতে হবে।
 
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ‘২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র চলছে’ অভিযোগ করে বলেন, দেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন দলকে নানা সুযোগ দিয়ে সরানোর চেষ্টা চলছে। তাদের এ চেষ্টা সফল হবে না।
 
তিনি সরকারের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের সরকার জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে না। গণতন্ত্র নির্বাসনে, আইনের শাসন নেই। মানবাধিকার ভূলণ্ঠিত। যে কারণে ফেলানীরা লাশ হয়।
 
কেবলমাত্র ব্যাক্তি-গোষ্ঠী স্বার্থে আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে নতজানু হয়ে আছি। ভারত আমাদের বন্ধু, তার অর্থ এই নয়, আমরা যুগ যুগ ধরে দিয়েই যাবো। গিভ অ্যান্ড টেক তো থাকতে হবে!
 
তরুণদের উদ্দেশ্যে হাফিজ বলেন, অনেকে অপেক্ষায় আছেন, আওয়ামী লীগের সুমতি হয় কি-না! আওয়ামী লীগের সুমতি হবে না। তরুণদের কাছে বিনীত নিবেদন, আমরা সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করবো। রাজপথে নামতে হবে। বাস্তব পরিবেশ উপলব্ধি করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে এ সরকারের ‘একনায়কতন্ত্রের’ অবসান হবে না।
 
‘আমরা অপেক্ষায় আছি, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামবো’- যোগ করেন তিনি।
 
এর আগে দেশের যতো সহিংসতা হয়ে সবই আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, সারাদেশে সহিংসতা করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানো হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারির সমাবেশ প্রমাণ করে, এসব সহিংসতা সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। সেদিন (৫ জানুয়ারি) তো কোনো সহিংসতা হয়নি!
 
খালেদা জিয়ার সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার তাগিদ দিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র নেই, সে দেশে জঙ্গিবাদ জেগে ওঠে। কথা বলার, আলাপ-আলোচনার পথ রুদ্ধ হলে বিএনপির মতো গণতন্ত্রকামী দলগুলো পেছনে সরে যাবে। জনগণ হতাশ হবে। তখন শক্তির দ্বারা যাদের উদ্ভব, তারা সামনে আসবে।
 
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অল কমিউনিটি ফোরামের উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন বকুল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৬
এসইউজে/জেডএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।