ঢাকা: ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গুলি করে হত্যা চেষ্টায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছাত্রদল নেতারা এ স্মারকলিপি দেন।
এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম বলেন, ২বছর আমরা ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছিনা। বলা হয়, ছাত্রদলের নিজেদের কোন্দলের কারণে তারা ক্যাম্পাসে যেতে পারেনা। আসলে এটি ঠিক নয়। মূলত: ছাত্রলীগই ছাত্রদল কর্মীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ছাত্রলীগের ক্ষেত্রেও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এর অবসান হওয়া দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
৮ এপ্রিল কেরানীগঞ্জের ঘটনারও তদন্ত দাবি করেন ছাত্রদলের এ নেতা।
প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, আসলে তোমরা সবই বুঝতে পারছো, বিষয়টিতো একই আয়নার এপিঠ আর ওপিঠ।
তিনি ঘটনা দু’টির বিষয়ে তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন।
এর আগে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের নেতৃত্বে একটি মিছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা হয়। মিছিলটি বিজয়নগর পানির ট্যাংকের কাছে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেয়।
পরে আমিরুল ইসলাম খান আলিম, সিনিয়র সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সভাপতি হায়দার আলী লেলিন, যুগ্ম সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল ও সাংগঠনকি সম্পাদক আনিসুজ্জামান তালুকদার খোকনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সচিবালয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বরাবরে তারা এই স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার চৌধুরী মুক্তার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রাজধানীর শান্তিনগরে হাবিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্মারকলিপিতে ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল সকালে রাজধানীর শান্তিনগরের কাছে একদল সন্ত্রাসী হাবিবকে গুলি করলে তিনি গুরুতর আহত হন। বর্তমানে হাবিব ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১১