ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩২, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

রাজনীতি

যারা মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করে, তাদের ভোট চাওয়ার অধিকার নেই: বরকত উল্লাহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৪, অক্টোবর ৭, ২০২৫
যারা মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করে, তাদের ভোট চাওয়ার অধিকার নেই: বরকত উল্লাহ

যারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করে, তাদের এই দেশে ভোট চাওয়া বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সুষ্ঠু ও অর্থবহ নির্বাচনে দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “যারা ৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, তারা এখন বাংলাদেশকে আফগানিস্তান, সিরিয়া কিংবা ইরাকের মতো অস্থিতিশীল করতে চায়। যারা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ মানে না, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে অস্বীকার করে, তাদের এ দেশে ভোট চাওয়ার কিংবা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো অধিকার নেই। ”

জামায়াত-শিবিরের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা দীর্ঘ ১৭ বছর একটি রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনের ছায়াতলে থেকে হালুয়া-রুটি-মাখন খেলেন। শেখ মুজিবকে জাতির পিতা আর শেখ হাসিনাকে মা ডাকলেন। হেলমেট পরে আমাদের ওপর হামলা চালালেন। অন্যান্য ছাত্র সংগঠন যেখানে ১৫ বছর ধরে হল ও ক্লাসে থাকতে পারেনি, সেখানে আপনারা আরাম-আয়েশে ছিলেন। অথচ এখন হঠাৎ করেই নিজেকে বিপ্লবী বলে দাবি করছেন!”

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০-৮৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রলীগের ভোট ২৫-৩০ শতাংশ। ছাত্রদল পেয়েছে ৫ হাজার ৮০০ ভোট, যা ঐতিহাসিক সাফল্য, কারণ আমরা মাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছি। কিন্তু ছাত্রলীগের ভোটগুলো কাস্ট হলো কীভাবে? পরে নীলক্ষেতে ব্যালট পাওয়া গেছে। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে যিনি ভিপি হলেন, সেই ভোট কোথা থেকে এলো? ছাত্রলীগের ভোটগুলোই অনিয়মের মাধ্যমে কাস্ট হয়েছে। ডাকসুর ভোট নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ”

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “৪২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারেক রহমানের দীর্ঘ আলোচনার মধ্য দিয়ে আড়াই বছর আগে যে ৩১ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে, তার চেয়ে ভালো কোনো প্রস্তাব আছে বলে আমি মনে করি না। ”

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের মৌলিক পরিবর্তনের অধিকার আপনাদের নেই। ”

তিনি আরও বলেন, “যারা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের পিএসরা এখন ৪০০-৫০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে—এটাই তাদের লুটপাটের চিত্র। ”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হারুণ চৌধুরী এবং সঞ্চালনা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক খান মো. নূরে আলম।

এসবিডব্লিউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ