ঢাকা: দেড় ঘণ্টা বৈঠক করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই বৈঠককে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সম্ভাব্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে তারা বৈঠকে বসেন। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার (স্থানীয় সময় সকাল ৯টা) দিকে শুরু হয়ে বৈঠকটি শেষ হয় সাড়ে ৩টার পরপর। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান।
তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তার আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
তারা দুপুর ২টার আগে ওই হোটেলে পৌঁছালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান তাদের অভ্যর্থনা জানান। পরে তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিশ্বস্ত সূত্রগুলো আগেই জানিয়েছিল, বৈঠকে আলোচনার শীর্ষে থাকার কথা ছিল আগামী নির্বাচনের সময়সীমা। ঈদের আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব দেন। বিএনপি এই সময়সীমা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাতে পারে, এমনটি শোনা যাচ্ছিল।
অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক শেষে খলিলুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। আর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেগুলোতে সংস্কার হবে। আগে-পরে সংস্কার চলতে থাকবে।
বিএনপির মিডিয়া সেল জানায়, বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বৈঠক শেষে পার্ক লেনের হোটেল থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হাসিমুখে বের হতে দেখা যায়।
এসবিডব্লিউ/আরএইচ