ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আলেমদের ডাণ্ডাবেড়ি পরানো বেআইনি-অমানবিক: হেফাজত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
আলেমদের ডাণ্ডাবেড়ি পরানো বেআইনি-অমানবিক: হেফাজত

ঢাকা: দেশের শিক্ষানীতি নিয়ে ষড়যন্ত্র ও আলেম-ওলামাদের ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে কোর্টে হাজির করার বিষয়ে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহাম্মাদ ইয়াহহিয়া ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এ কথা বলেছেন।

তারা বলেন, হেফাজতে ইসলামের মামলায় কারাবন্দী আলেম-ওলামাদের আদালতে হাজির করার সময় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো হচ্ছে। এ ঘটনা শুধু অমানবিক যে তা নয়, বেআইনিও। এইভাবে আলেমদের লাঞ্ছিত করা কারও জন্য শুভ হবে না। আলেমরা দেশের শত্রু বা সন্ত্রাসী না। তাদের এভাবে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে তোলা চরম অমানবিক।

শিক্ষানীতি প্রণয়ন সম্পর্কে তারা বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানের সন্তানদের ইমান আকিদা ও দেশপ্রেম ধ্বংসের জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়নের দায়িত্ব ইসলাম বিরোধী শক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা মুসলমানের সন্তানদের নাস্তিক ও হিন্দুত্ববাদী মানসিকতা তৈরি করার জন্য শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছেন। শিক্ষা সিলেবাসের পরতে পরতে নাস্তিক্যবাদ ও হিন্দুত্ববাদ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ডারউইনের কুখ্যাত নাস্তিক্যবাদ ও আরএসএস-এর হিন্দুত্ববাদ দিয়ে ভরে ফেলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস। বানর থেকে মানুষ সৃষ্টির কুরআন-হাদিস বিরোধী মতবাদ পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করা হয়েছে। হিজাব থেকে শুরু করে দাড়ি, ইসলামের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার বিষয়ে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে।

তারা আরও বলেন, আমাদেরকে বারবার আশ্বস্ত করা হয়েছিল পাঠ্য বইয়ে ইসলাম বিরোধী কিছু থাকবে না। কিন্তু সেই কথা রাখা হয়নি। সর্বোচ্চ মহলের কাছে দাবি জানানোর পরেও ইসলাম বিরোধী মতবাদগুলো কেন পাঠ্যবইয়ে থাকলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষার্থীদের হাতে ইসলাম বিদ্বেষী এসব বই-পুস্তক তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে স্পষ্ট যে, পুরো একটা জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা জানতে চাই, কারা এমন গুরুতর অপকর্ম করেছেন? তাদের সামনে আনা হোক। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক। একই সঙ্গে এ শিক্ষা সিলেবাসে থাকা ইসলাম বিরোধী বিষয়গুলোসহ অসঙ্গতিপূর্ণ সকল বিষয় বাতিল করে নতুন সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। এ সিলেবাসে একদিনও পাঠদান আমরা মেনে নিতে পারি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এমএইচ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।