ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাস্তা দখল করে কেউ দোকান বসালে ব্যবস্থা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
রাস্তা দখল করে কেউ দোকান বসালে ব্যবস্থা

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানুষের চলাচলের রাস্তা দখল করে কেউ দোকান বসালে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাইকারি কাঁচাবাজারগুলো শহরের বাইরে হলেই বেশি ভালো হবে।

তিনি বলেন, রাজধানীতে জনদুর্ভোগ ও যানজট কমাতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার বসাতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ কাঁচাবাজার স্থানান্তরের লক্ষ্যে গাবতলী কাঁচাবাজার এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলরা।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, কারওয়ান বাজার অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখান থেকে সারা ঢাকা শহরের খুচরা বাজারগুলোতে পণ্য ডিস্ট্রিবিউশন হয়। ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় খুচরা বাজারে পৌঁছাতে অনেক যানজট ও সমস্যা হয়। কারওয়ান বাজার থেকে ঢাকার ভিন্ন পয়েন্টে সুবিধাজনক স্থানে কীভাবে স্থানান্তর করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। সবার প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেসব ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে চলে আসবেন তারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এবং মানুষেরও ভোগান্তি না হয়। তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কাউকে হঠাৎ করে চলে যেতে বললে সে চলে যাবে না। আর গেলে কোথায় যাবে। কিন্তু তাদের জন্য জায়গা দেওয়া ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তাহলে তারা অবশ্যই যাবে। কাঁচাবাজার তিনতলা বা পাঁচতলা করা যৌক্তিক না। কিন্তু এখানে এধরনের ভবন করার কারণ ওপরে ইলেক্ট্রিকসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রি করা হয়। পরিকল্পিত এবং দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়ায় আমাদের মূল লক্ষ্য।

তাজুল ইসলাম বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার এক জায়গায় হওয়া উচিত নয়। এতে একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ তৈরি হবে অন্যদিকে যানজটও সৃষ্টি হবে। আমরা চাই পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হোক। পাইকারি কাঁচাবাজারগুলো শহরের বাইরে হলেই বেশি ভালো হবে। মন্ত্রণালয়, ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এ লক্ষ্যে কাজ করছে। সবাইকে নিয়ে বসে করণীয় ঠিক করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যত্রতত্র পাইকারি খুচরা বাজার না রেখে কোন এলাকায় কতটি বাজার লাগবে মেয়র এবং কাউন্সিলর বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করবে। জায়গা চিহ্নিত করে যদি নতুন করে আরও কাঁচা বাজার প্রয়োজন হলে তাও করা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের জন্য শুধু স্বপ্ন দেখেননি সেটি বাস্তবায়ন করতে কাজ করেছে। এ ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। এখন আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সরকার কারো বিরুদ্ধে নয়। মানুষ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করে। একটা সমস্যা শেষ হলে আর একটা নতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সরকার সেটিও বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২২
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।