ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক নেই বান্দরবানে

কৌশিক দাশ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক নেই বান্দরবানে

বান্দরবান: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে প্রতিদিনই পর্যটকদের আগমন ঘটে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে। জেলার মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি দেবতাখুম, শৈলপ্রপাত, নীলদিগন্তসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলো জমজমাট থাকে যেকোন সরকারি ছুটিতে।

এবারও ঈদুল আজহার ছুটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানে পর্যটকদের বরণ করে নিতে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের আশা ছিল, বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমনে মুখর হবে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। কিন্তু তাদের সে আশায় ভাটা পড়েছে। আশানুরূপ পর্যটক না আসায় হতাশ তারা। লোকসানের আশঙ্কায় হোটেল, রিসোর্ট মালিকসহ রেস্তোরাঁ ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা।

পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটিতে বান্দরবান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সাজানো হয়, কিন্তু ঈদের বন্ধে আশানুরূপ পর্যটকের আগমন ঘটেনি। জেলা শহরের হোটেল-রিসোর্টগুলোর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হয়েছে মাত্র।

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল গ্রিনল্যান্ড এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর ঈদের বন্ধে প্রচুর পর্যটক বান্দরবানে আসতো, তবে করোনার পর থেকে পর্যটকদের চাপ অনেকটাই কমে গেছে আর তার ওপর সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ও পরিবর্তন হয়েছে আর এতে পর্যটকদের আশানুরূপ দেখা নেই বান্দরবনে।

বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বাংলানিউজকে বলেন, সমিতির আওতাধীন হোটেল রিসোর্টগুলোতে ৩০ শতাংশের মতো রুম বুকিং হয়েছে, আবার ছুটি কম থাকায় অনেকেই রুম বুকিং করেনি।  

তিনি আরও বলেন, করোনার বিধিনিষেধ কম থাকায় আমরা মনে করেছিলাম এবার প্রচুর পর্যটক বান্দরবানে আসবে। তবে আশা অনুযায়ী পর্যটক বান্দরবানে আসেনি আর পর্যটন ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেনি।

বান্দরবান হোটেল রোস্তেরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মাস্টার বাংলানিউজকে জানান, এবারের ঈদে বান্দরবানে পর্যটকদের কম উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আমরা আমাদের হোটেল আর রোস্তেরাঁয় যে পরিমাণ বিক্রির আশা করেছিলাম সেই পরিমাণ বিক্রি হয়নি।

জেলা প্রশাসন পরিচালিত বান্দরবানের নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী আদীব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি ঈদের ছুটিতে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের পদচারণায় জমজমাট থাকত, তবে এবার পর্যটক কম। ঈদের দিন মাত্র ৫শ পর্যটক নীলাচলে ভ্রমণ করেছে আর ঈদের ২য় দিন প্রায় ১ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেছে।

এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, পর্যটকেরা যাতে ঈদের এই সময়টায় বান্দরবানে নিরাপদে ভ্রমণকরতে পারেন সে লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, সব ট্যুরিস্ট পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা পর্যটকদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।