ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘ইতিহাসে ইসরায়েলের মতো নৃশংসতা আর ঘটেনি’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
‘ইতিহাসে ইসরায়েলের মতো নৃশংসতা আর ঘটেনি’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানব পতাকা প্রদর্শন করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানানো হয়। এছাড়া যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিচার ও বাংলাদেশের পাসপোর্টে পুনরায় ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দ যোগ করার দাবি জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবির আইন অনুষদের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ফিলিস্তিনিদের ছবি দেখলে আর ঘুমাতে পারি না। তাদের ৬৭ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে; যাদের ৮০ শতাংশ বেসামরিক নাগরিক।

তিনি বলেন, ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি অনুযায়ী রাফা বর্ডারে কোনো সেনা রাখার কথা ছিল না। সে চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরায়েল রাফা ক্রসিংয়ে সেনাবাহিনী বসিয়েছে। আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি—ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে মানা হয়নি।

আসিফ নজরুল বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা শক্ত অবস্থান নিয়েছে। অব্যাহতি ও বাধার পরও তারা সরছে না। বাংলাদেশে সকল ছাত্র সংগঠন এক হয়ে এরকম আয়োজন করতে পারে। যাতে বিশ্ব গণমাধ্যমের কাছে আমরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে পারি।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের কাছ থেকে আড়ি পাতার যন্ত্র কেনার খবর আমরা শুনেছি। ওই দেশের সাথে প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা হোক, তা আমরা চাই না।  

সমাবেশে শিক্ষা-আন্দোলনে যুক্ত রাখাল রাহা বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের এই যুদ্ধ জাতিগত নির্মূলের আকাঙ্ক্ষা। গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে তারা ঘটনার বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটি বন্ধ করতে হবে।

মানবাধিকার কর্মী শারমিন মুরশিদ বলেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সংঘাতকে যুদ্ধ বলা যাবে না; এটি গণহত্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে হত্যা, দখল ও জুলুম রয়েছে। তাদের কাছে গণমাধ্যম ও টাকা রয়েছে। এসবের ব্যবহার তারা করছে।

সমাপনী বক্তব্যে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ফিলিস্তিনের মানুষ ভয়াবহ কষ্টে আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ছবি দেখি, যেখানে শিশুদের হাত আলাদা হয়ে ঝুলে আছে। এর মধ্যেই মুক্তিকামী যেসব মানুষ লড়াই করে যাচ্ছেন, আমরা তাদের প্রতি সংহতি জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।